সরকারি হাসপাতালে দালালচক্রের রমরমা, সরব খোদ টাউন তৃণমূল সভাপতিই

  • সরকারি মহকুমা হাসপাতালে দালাল চক্র
  • লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে সক্রিয় দালালচক্র 
  • সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা 
  • দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরব লালবাগ টাউন সভাপতি

Asianet News Bangla | Published : May 31, 2021 2:08 PM IST

এ যেন উলাটপুরাণ। কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল কিংবা বিজেপির অভিযোগ নয়। খোদ সরকারি মহকুমা হাসপাতালে 'ঘুঘুর বাসা' ভাঙতে এগিয়ে এল শাসকদল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের সীমান্ত লাগোয়া লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল। স্বাস্থ্য কর্মী ও স্থানীয় দালাল চক্রের যৌথ ষড়যন্ত্রে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে আসা রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি পরিষেবা থেকে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খোদ শাসকদলের লালবাগ টাউন সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর। 

এই ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত লালবাগ মহকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা ওই হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বিস্তারিত ঘটনা শোনার পর 'ব্যস্ত' আছি বলে অজুহাত দিয়ে ফোন রেখে পাশ কাটিয়ে যান । তারপর একাধিকবার ফোন করলেও তিনি আর ফোন ধরেন নি। 

লালগোলা,ভগবানগোলা, রানীতলা, জিয়াগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ থানা এলাকা তো বটেই তার সঙ্গে ইসলামপুর, নবগ্রাম এমন কি সাগরদীঘি থানা এলাকার একটি বড় অংশের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতে নির্ভর করে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের উপর। অথচ প্রত্যন্ত এই সব এলাকা থেকে রোগী নিয়ে এসে রোগীর বাড়ির লোকজন দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে নাজেহাল হচ্ছেন। অভিযোগ ওই চক্রের পাল্লায় পড়ে রোগীর দফারফা যেমন হচ্ছে তেমনি বড় ধরনের আর্থিক  বোঝার মুখেও পড়ছেন তারা। 

অথচ রাজ্য সরকারের আনুকূল্যে হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনা মুল্যে চিকিৎসা পাওয়ার কথা। কিন্তু রোগী এলেই হাসপাতালের কিছু স্বাস্থ্য কর্মী ও দালাল চক্রের পাতা ফাঁদে পড়ে তারা চলে যাচ্ছেন স্থানীয় কিংবা বহরমপুরের বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে। এর ফলে রোগীর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে যেমন ওই দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা টাকা, তেমনি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকেও মিলছে নির্দিষ্ট হারে টাকা। 

এছাড়াও রয়েছে মেডিক্যাল ইনভেস্টিগেশান অর্থাৎ রক্ত, এক্সরে, ইউএসজি করানোর ক্ষেত্রেও ওই সব সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক আদান প্রদান। ওই হাসপাতালের এই রকমই এক গুচ্ছ অনিয়ম ও বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন খোদ মুর্শিদাবাদ টাউন তৃণমূল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর। 

পরে তিনি  বলেন, “রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে সমস্ত ব্যাবস্থা চালু রেখেছে। তার পরেও হাসপাতালের একদল কর্মী এবং দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে রোগীদের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। যে কোনও মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওই চক্র  উচ্ছেদ করতেই হবে।” বাম আমল থেকে চলতে থাকা এই দালাল রাজ মুক্ত করতে তিনি স্থানীয় মানুষের সহযোগিতার আবেদন রাখেন।   

Share this article
click me!