ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিপদের আশঙ্কায় সর্তক হাওড়া জেলা প্রশাসন। জলমগ্ন হবার আশঙ্কা রয়েছে হাওড়া শহর, মন্ত্রী অরূপ রায় সকাল থেকেই ফেরী ঘাট গুলি পরিদর্শন করেন।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের ( Cyclone Jawad) প্রভাবে বিপদের আশঙ্কায় সর্তক হাওড়া জেলা প্রশাসন। জলমগ্ন হবার আশঙ্কা রয়েছে হাওড়া শহর। মন্ত্রী অরূপ রায় (Minister Arup Roy) সকাল থেকেই ফেরী ঘাট গুলি (Howrah ferry terminal)পরিদর্শন করেন। মূলত নদীর ধারে যারা বসবাস করেন তারা যেন নদীতে না নামেন মাইকে সতর্ক করছেন এনডিআরএফ।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিপদের সম্ভাবনা আছে । তাই সর্তক হাওড়া জেলা প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই ঝড় না হলে ও বৃষ্টি বেড়েছে। জলমগ্ন হবার আশঙ্কা রয়েছে হাওড়া শহর। মন্ত্রী অরূপ রায় সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে ফেরী ঘাট গুলি পরিদর্শন করেন।তবে রাস্তা ঘাটে মানুষজন কম।বেলা যত বাড়বে আবহাওয়া তত খারাপ হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য শনিবার বিকালে শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে দেখা গিয়েছিল এনডিআরএফ টিম মাইকে প্রচার করছে। মূলত নদীর ধারে যারা বসবাস করেন তারা যেন নদীতে না নামেন মাইকে সতর্ক করছেন। এর পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টির সময় যাতে লোকজন ঘরের বাইরে না বেরোন তা বলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গাছের তলায় অথবা ইলেকট্রিক পোষ্টের সামনে না যান তা মাইকে প্রচার করছেন বাহিনী। এনডিআরএফ এর সাব-ইন্সপেক্টর রাজেশ কুমার কোরা জানিয়েছেন হাওড়াতে মোট ১৮ টি টিম কাজ করছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে যতক্ষণ না আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে ততক্ষণ তারা মানুষকে সতর্ক করার কাজ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সারাদিন বৃষ্টি চলবে। মেঘলা হয়ে থাকবে আকাশ। সমুদ্র উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কয়েক পশলা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে। যার জেরে আগাম সতর্ক হয়েছে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, এই মাত্র পাওয়া খবরে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিস।। হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতি এবং ভূতল পরিবহন সংস্থা সূত্রে খবর রিভার ট্রাফিক পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্দেশে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাওড়া ফেরিঘাটে দেখা গেল একাধিক ভেসেলকে জেটির সঙ্গে মোটা দড়ি দিয়ে বাঁধা আছে। যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। এর পাশাপাশি সকাল থেকে টানা বর্ষণ এবং কোটালের কারণে গঙ্গার জল স্তর বেড়ে গেছে। হাওড়া ফেরি ঘাটের জেটির একাংশ জলের তলায়। দুর্যোগের কারণে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অধিকাংশ কর্মী ভেসেল দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস আপাতত বন্ধ থাকবে।