তবে পুজো উদ্বোধনের সময় সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি অন্য নেতা-নেত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের মুখেও মাস্কের দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও এর মধ্যে শুধুমাত্র হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেনের মুখেই মাস্কের দেখা মিলেছে। আর এ নিয়েই একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
যে কোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Corona Third Wave)। তা নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। তার জন্য সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা ও মাস্ক (Mask) পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সতর্কবার্তাকে তোয়াক্কা না করে মাস্ক না পরেই হরিশ্চন্দ্রপুর সহ উত্তর মালদহের (Malda) বেশ কয়েকটি পুজোমণ্ডপ উদ্বোধন করতে দেখা গেল জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (Sabina Yeasmin)। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ মর্জিনা খাতুন, বিধায়ক তজমুল হোসেন, জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, শাসকদলের জেলা সংগঠনের যুব শাখার সভানেত্রী চন্দনা সরকার, মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি, শ্রমিক সংগঠনের নেতা শুভদীপ সান্যাল সহ অন্য নেতা-নেত্রীরা।
আরও পড়ুন- প্রথা মেনে সাঁকরাইলের পাল বাড়িতে অষ্টমীর বিকেলে হল সিঁদুর খেলা
তবে পুজো উদ্বোধনের সময় সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি অন্য নেতা-নেত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের মুখেও মাস্কের দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও এর মধ্যে শুধুমাত্র হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেনের মুখেই মাস্কের দেখা মিলেছে। আর এ নিয়েই একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি (BJP) ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দুটি ব্লকেই শিশুদের অসুস্থতার হার বাড়ছে। তার মধ্যেই এভাবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী সহ জন-প্রতিনিধিরা মুখে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবে মুখে মাস্ক ছাড়াই পুজো মণ্ডপ ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড় কর্মী-সমর্থকদের। এই ঘটনাকে ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও এ প্রসঙ্গে কোনওরকম মন্তব্য করতে নারাজ শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা।
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, "আমরা ষষ্ঠীর দিন থেকে জেলার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ উদ্বোধন করছি। অনেক জায়গায় পুজোর খুব ভালো আয়োজন করা হয়েছে।" হরিশ্চন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ ফ্যান ক্লাবের খেলা হবে থিমের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
আরও পড়ুন- বিশ্ববাংলা থেকে খেলা হবে, হরিশ্চন্দ্রপুরের পুজোমণ্ডপে দশভুজা মমতা
এদিকে রাজ্যে জন-প্রতিনিধি ও শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের মাস্ক ছাড়াই পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রুপেশ অগরওয়াল বলেন, "এইভাবে করোনার মধ্যে জন-প্রতিনিধিরা যদি মাস্ক ছাড়াই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ঘুরে বেড়ান তাহলে জনগণ কী শিখবে। মন্ত্রী জন-প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তারাও মাস্ক পরতে ভুলে গিয়েছেন। এটা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয়। যেখানে বারবার রাজ্য থেকে শুরু করে ভারত সরকার সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা নিয়ে সচেতন হতে বলছে, সেখানে এইভাবে রাজ্য সরকারের জন-প্রতিনিধিরা আইন লঙ্ঘন করছেন সেটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।"