বাঁদরের কামড়ে জখম বিধায়ক, পাগল বাঁদর চিনতে 'কামান দাগা'

  • বাঁদরের কামড়ে জখম বিধায়ক
  • পাগল বাঁদরের আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে
  • বাঁদর ধরতে ছুটে এল বনকর্মীরা
  • খাঁচা পাতলেও ধরা দিচ্ছে না বাঁদর

debojyoti AN | Published : Sep 13, 2019 4:46 AM IST

কথায় আছে মশা মারতে কামান দাগা। এবার সেই অবস্থার জোগাড় হল ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি গ্রামে। যেখানে বাঁদরের কামড়ে আহত হলেন খোদ বিধায়ক।

পাগল বাঁদরের আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রাম জেলার লোধাশুলি এলাকায়। বাঁদরের কামড়ে জখম হলেন বিধায়ক চুরামনি মাহাতো। বাঁদরের হামলা থেকে পরিত্রাণ পাননি এলাকার আরও দুজন। স্থানীয়দের দাবি, বাঁদরটি পাগল হয়ে গিয়েছে, তাই অকারণে মানুষ দেখলেই তাড়া করছে। কিন্তু নামের সঙ্গেই যার বাঁদরামি জড়িত,সে তো উৎপাত করবেই । তাহলে কেন চিন্তা করছে মানুষ ?

এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য় বাঁদরদের মতো কেবল কলা পেলেই ছাড় মিলছে না এই বাঁদর থেকে। বন দফতর বানরটিকে ধরতে খাঁচা পাতলেও সেই খাঁচায় ধরা দিচ্ছে না বাঁদরটি। কলা বা অন্যান্য খাবার দিলেও খাঁচার ভিতরে কিছুতেই ঢুকচ্ছে না। জানা, গিয়েছে খাবারের লোভে বাঁদরটি এগিয়ে এলেও খাবার নিয়ে কামড়ে দিচ্ছে। আবার কখনো সাধারণ মানুষকে কামড়াতেই দিচ্ছে হামলার ঝাঁপ। যা ঘিরে এলাকায়  রীতিমত এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

হাতির তান্ডবের পর গত কয়েক দিন বানরের এই তান্ডব চলছে ঝাড়গ্রাম ব্লকের লোধাশুলি জাতীয় সড়ক এবং সংলগ্ন এলাকায়। সম্প্রতি লোধাশুলির তাহিদুল শেখ নামে এক এক যুবকের কান কামড়ে দেয় বাঁদর। তাহিদুল জানিয়েছে, বাঁদর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর এক সময় কান ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। বাঁদরের লম্ভঝম্প থেকে বাদ যাননি এলাকায় বেকারির কারিগর শেখ মুসলেম। বুধবার সকালে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামনি মাহাতোর হাতেও কামড় দেয় বানরটি। এ বিষয়ে চূরামনিবাবু জানান 'লোধাশুলি মোড়ে অনেকেই বানরটিকে খেতে দিচ্ছিল। ভাবলাম আমিও খেতে দিই। এক টুকরো কেক হাতে খাওয়াতে গিয়েছিলাম। তখন হঠাতই আমার হাতে কামড় দেয়। আমি ডাক্তার দেখিয়ে ইনজেকশন নিয়েছি । এখন ভালো আছি। '

স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছে অবিলম্বে বানরটিকে ধরার ব্যবস্থা করুক বনদফতর। এদিকে বনদফতরের পক্ষ থেকে বানরটিকে ধরতে বুধবারই ওই এলাকায় খাঁচা বসানো হয়। ধূর্ত বানরটি খাবার দিলে বাইরে খাচ্ছে। কিন্তু খাঁচার ভিতরে ঢুচ্ছে না। আর বানরের তাণ্ডবে আতঙ্কে রয়েছেন লোধাশুলি এলাকার বাসিন্দারা। এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলেচ্ছি বলেন  'কয়েকজনকে জখম করেছে ওই বাঁদর।  বাদঁরকে ধরার জন্য আমরা টোপ দিয়ে ওই এলাকায় খাঁচা পেতেছি। দেখা যাক কি হয়।'যদিও গ্রামের মানুষ জানান, একই রকম দেখতে হওয়ায় এখন পাগল বাঁদর চেনাই দায় হয়েছে সবার। রাস্তা দিয়ে যেকোনও বাঁদর দেখলেই পাগল বাঁদর মনে করে আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা। 

Share this article
click me!