'সিপিএমের অবস্থা কেমন জানেন', বলেই প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদাহরণ স্বরূপ সিপিআইএমকে 'কুকুরের' সঙ্গে তুলনা করলেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। 'তৃণমূলের দৈন্যতাকেই তিনি প্রকাশ করছেন,ওনাকে একটু সৎ পরামর্শ দিক', পাল্টা প্রতিক্রিয়া সিপিআইএমের।
'সিপিএমের অবস্থা কেমন জানেন', বলেই প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদাহরণ স্বরূপ সিপিআইএমকে 'কুকুরের' সঙ্গে তুলনা করলেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (TMC MLA Narayan Goswami)। 'তৃণমূলের দৈন্যতাকেই তিনি প্রকাশ করছেন,ওনাকে একটু সৎ পরামর্শ দিক', পাল্টা প্রতিক্রিয়া সিপিআইএমের (CPIM)।
রবিবার অশোকনগর পৌরসভার ১ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল সেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, 'সিপিএমের অবস্থা কেমন জানেন', বলেই একটু থেমে গিয়ে তিনি বলেন,'মাফ করবেন,আমি উপমা দেওয়ার জন্য বলছি - এটা একটি গল্প। আমি ওই রাজনৈতিক দলকে বলছি না। এই বলেই বিধায়ক একদম গল্পের ঢঙে বলতে শুরু করলেন,'দেখবেন কুকুরের পায়ে বা পিঠে ঘা হলে নিজেই চেটে চেটে সারিয়ে নেয়। কিন্তু মাথায় ঘা হলে তা আর ঠিক করতে পারে না তারপরে মারা যায়।আর বামফ্রন্ট নামে বস্তুর ২০১১ সালের পর তাদের মাথায় ঘা হয়েছে। এ আর বাঁচবে না ।
এই নিয়ে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও একই কথা জানিয়ে বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী জানান, তিনি সিপিআইএমকে কুকুর বলেননি উদাহরণস্বরূপ একটি গল্প বলেছেন মাত্র।
এই প্রসঙ্গে সিপিআইএমের অশোকনগরে প্রাক্তন বিধায়ক তথা বামফ্রন্টের নেতা সত্যসেবী কর বলেন, যে যার রুচি-সংস্কৃতি অনুযায়ী বক্তব্য রাখেন, কথা বলেন।আমি ওনাকে বলবো 'উনি তো এখানে নতুন, এইখানকার যারা তৃণমূলের নেতা আছেন তারা ওনাকে একটু সৎ পরামর্শ দিক। কারণ এটা অশোকনগরের সংস্কৃতি নয়। এইভাবে একটি তুলনা টানা তাতে তৃণমূলের দৈন্যতাকেই তিনি প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি তিনি বিধায়কের নাম না করে কটাক্ষের সুরে বলেন,' আমরা যদি মরেই যাই তাহলে মৃতপ্রায় একটি দলকে নিয়ে ওনার এত উৎকণ্ঠা কিসের' বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দোরগোড়ায় পুরভোট। রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় পুরভোট উপলক্ষে সাজোসাজো রব। অটো, রিক্সায় করে মাইকিং, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল ও বিরোধীরা। এদিকে কোভিড সংক্রমণ কমে আসায় রাজ্যকমিশনও বিধি নিষেধে শিথিল করেছে। তার উপর রাজ্যে গত একুশের বিধানসভার পর থেকে উপনির্বাচন, পুজোর পরে কলকাতা পুরভোট-সহ চলতি বছরে ৪ পুরনিগমে বিপুল সংখ্যায় ভোট পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আগের থেকে শক্তিশালী তৃণমূল। এখন শুধুই চব্বিশের লক্ষ্যে ভিন রাজ্যের বিধানসভাগুলিও দখলে আনতে চায় তৃণমূল। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিপুল জয়ের পর নানা জায়গা থেকে বেপরোয়া বক্তব্য বা কাজের একের পর এক অভিযোগও আসছে। তবে কড়া হাতে সামলাচ্ছে শাসক দল। গন্ডোগোল লাগলেই একের পর এক কর্মীকে বহিষ্কার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।