
কথায় বলে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। দুপুরে মাছ-ভাত না খেলে যেন বাঙালির মন ভরে না। আর সেই মাছ যদি হয় ইলিশ, তাহলে তো কোনও কথাই নেই। প্রায় এক থালা ভাতই তা দিয়ে খাওয়া হয়ে যায়। আর বর্ষার সময় ইলিশের সঙ্গে অন্য কোনও মাছের জুরি মেলা ভার। এছাড়া ইলিশটা যদি হয় পদ্মার তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছর সময়ের একঘেয়েমি কাটাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিল মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরের রানিবাগানের একটি অভিজাত হোটেল কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিনের জন্য ভোজন রসিক বাঙালির জন্য 'ইলিশ পার্বণ'-এর আয়োজন করা হয়েছে ওই হোটেলে। বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পদ্মার ইলিশ আমদানি করে হরেক রকমের ইলিশের পদের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন- চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে, মাথায় আঘাত করে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট, চাঞ্চল্য হাওড়ায়
আরও পড়ুন- WBCS-র প্রশ্নে 'সবুজ সাথী', 'সরকার নিজের প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে', বিস্ফোরক শুভেন্দু
এই উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার। তবে প্রথম দিনেই বাজিমাত করেছে এই উৎসব। কি নেই সেই তালিকায় ইলিশ পোস্ত, কালো জিরে সর্ষে বাটা দিয়ে তৈরি ইলিশ, ভাপা ইলিশ, সরষে ইলিশ, দই ইলিশ, বেগুন পাতুরি ইলিশ, শবনম ইলিশ, আরও কত কি। ইলিশের হাজারো পদের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। মাত্র ৯৯৯ টাকার বিনিময়ে অনলাইনে বুকিংয়ের মাধ্যমে খাদ্য রসিকরা এই ইলিশ পার্বণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান ওই হোটেলের কর্ণধার পারভিন চন্দ্র।
আরও পড়ুন, পদ থেকে কি সরছেন দিলীপ ঘোষ, BJP-র ৩ দিন ব্যাপী সাংগঠনিক বৈঠকে নজর সবার
এই উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে জেলাবাসীর স্বাদবদলের জন্য এই বিশেষ আয়োজন করেছি। মানুষ এই ইলিশ পার্বণ নিয়ে খুবই উৎসাহী।" আর ইলিশের হরেকরকম পদ খাওয়ার পর এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "অনেকদিন পর আমরা করোনার আবহে একঘেয়েমি কাটিয়ে খানিকটা নতুনত্বের স্বাদ পেলাম। শহরবাসীরা খুবই উৎসাহী এই ইলিশ পার্বণ নিয়ে।"