অভিযোগ, খুন্তি গরম করে তা চেপে ধরেন ছেলের গায়ে। তাও একবার নয় একাধিকবার তার গায়ে খুন্তির ছ্যাঁকা দেন তিনি।
অশান্তি লেগেই ছিল পরিবারে। আর সেই কোপ গিয়ে পড়ল একরত্তির উপর। নিজের তিন বছরের পুত্র সন্তানের উপর পৈশাচিক অত্যাচার করলেন মা। অভিযোগ, খুন্তি গরম করে তা চেপে ধরেন ছেলের গায়ে। তাও একবার নয় একাধিকবার তার গায়ে খুন্তির ছ্যাঁকা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের চাঁদখালি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মহিলা অর্পিতা আচার্য্যের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ঝামেলা লেগেই থাকত। এনিয়ে একাধিকবার স্থানীয় বাসিন্দা ও মহিলা সমিতির সদস্যরা মধ্যস্থতা করলেও তার সমাধান হয়নি। গতকালও শ্বশুরের সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল। ভাত ফেলে নষ্ট করা নিয়ে প্রথমে পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। শ্বশুরের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করেছিলেন অর্পিতা। আর সেই রাগ গিয়ে পড়ে ছেলের উপর। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজা বন্ধ করে ছেলের গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতে শুরু করেন অর্পিতা। তবে সেটা একবার নয় একাধিকবার। আর গরম খুন্তির ছ্যাঁকায় কাতরাতে শুরু করে একরত্তি। কিন্তু, তাতেও অর্পিতার মন গলেনি।
আরও পড়ুন, 'দেওয়ার ইচ্ছা নেই, শুধু লোককে বোকা বানানোর চেষ্টা', মমতাকে তোপ দিলীপের
এরপর ওই শিশুর চিৎকারে পরিবারের সবাই অর্পিতাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু, কারও কথা শোনেননি তিনি। ঘরের দরজা আটকে রেখে ছেলের উপর অত্যাচার চালাতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয় এক মহিলা সমিতির সদস্যদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান ওই শিশুর বাবা দেবাশিস আচার্য্য। তাঁরাই এসে ঘরের দরজা ভেঙে একরত্তিকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওই শিশুর চিকিৎসা করা হয়।
মহিলা সমিতির তরফে ক্যানিং থানায় অর্পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্পিতাকে আটক করে। পাশাপাশি শিশুর বাবাকেও আটক করা হয়েছে। তাঁদের দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
যদিও একজন মা কীভাবে নিজের সন্তানের উপর এভাবে অত্যাচার চালাতে পারেন বুঝতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। অর্পিতার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।