বৃষ্টির দেখা নেই। গোটা রাজ্যের সঙ্গে বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছে বাঁকুড়াও। আর তার মধ্যেই অভিনব ঘোষণা করলেন বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু। তাতেও বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে তাঁর জয় আটকায়নি। বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে এ বার ৭৮,০৪৭ ভোটে জিতেছেন সৌমিত্রবাবু। এ বার নিজের সাংসদ এলাকায় সমসংখ্যক গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। ঘটনাচক্রে দীর্ঘ সাত মাস পর আদালতের অনুমতি মেলায় বাঁকুড়ায় প্রবেশ করতে পেরেছেন সৌমিত্রবাবু।
আরও পড়ুন- 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোরের রানি', বিষ্ণুপুরে ঢুকেই তীব্র আক্রমণে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, দেখুন ভিডিও
রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌঁছে প্রথমে একটি দলীয় সভায় যোগ দেন বিজেপি সাংসদ। তার পর একটি আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মধ্যাহ্নভোজ সেরে গ্রামে চারা গাছ রোপণ করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। কোদাল হাতে মাটি খুড়ে নিজেই গাছ লাগান তিনি। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও বৃক্ষরোপণ করেন।
এর পরেই গাছ লাগানো নিয়ে অভিনব প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। যত ভোটে জিতেছেন, সমসংখ্যক গাছ লাগিয়েই তিনি নিজের সাংসদ এলাকার মানুষের ঋণ শোধ করতে চান বলে মন্তব্য করেন সৌমিত্রবাবু। ছ' মাসের মধ্যে তিনি নিজের লোকসভা এলাকায় এই কাজ করবেন বলে জানান সৌমিত্রবাবু। বেশি করে গাছ লাগানো এবং জলের অপচয় বন্ধ করারও আবেদন জানান বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, 'বিষ্ণুপুরের ষোল লক্ষ মানুষ ভাল থাকবেন, এটাই আমার অঙ্গীকার। গাছ থাকলে আমরা থাকব। গাছকে ভালবাসলেই তা আমাকে ভালবাসা হবে।' রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে ফারাক থাকতেই পারেই। কিন্তু বিষ্ণুপুরের সাংসদের এই উদ্যোগকে অনুসরণ করতে পারেন দেশের অন্যান্য সাংসদরাও।