এদিকে সেই সময় বুথে পুলিশ কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায়। আর সেখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
কোথাও দেদার ছাপ্পা, তো কোথও খবর করতে গিয়ে হুমকির মুখে সাংবাদিকেরা। রবিবার রাজ্যব্যাপী ১০৮ পুরসভার ভোট গ্রহণ পর্বে এই চিত্রই দেখল রাজ্যবাসী। এদিন মধ্যমগ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে বেধড়ক মারধর করল শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী। অভিযোগ উঠেছে এমনটাই। বুথের মধ্যেই চলে মারধর। এদিকে সেই সময় বুথে পুলিশ কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায়। আর সেখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এমনকী রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
সূত্রের খবর, মধ্যমগ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০৪ ও ২০৫ নম্বর বুথে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ বামফ্রন্টের এজেন্টরা প্রথমে দুটি ইভিএম ভাঙচুর করে। তাদের বাধাতেই শান্তপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়। এদিকে ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের খবর সংবাদ মাধ্যমের কানে যেতেই ছুঠে আসে একাধিক মিডিয়া হাউসের প্রতিনিধিরা। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধি বুথের ছবি নীতে গেলে শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী বুথের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা করে। বেধড়ক মারধর করায় একাধিক সংবাদ প্রতিনিধিকে। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে গোটা ঘটনাটাই ঘটে পুলিশের সামনে। তবে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে পুলিশকে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
তবে এই দুই বুথে সকাল থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তারমধ্যেই ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদিকে রাজ্যজুড়ে চলছে পুরসভা নির্বাচন। ১০৮ টি পুরসভায় চলছে নির্বাচন। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। কোথাও ধর্ষণের হুমকি, কোথাও আবার বিবস্ত্র করার হুমকি উঠেছে। খোদ প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ব্যারাকপুরের সিপিএম প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার এরইমাঝে মধ্যমগ্রামের ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন সকলে। অন্যদিকে দেদার ছাপ্পাভোটের অভিযোগ উঠেছে শান্তিপুরেও। সেথানেো পুলিশের সামনে সমানে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ছবি সামনে এসেছে। শান্তিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৯ নম্বর বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বরাবরের মতো সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।