এলাকায় কেউ জ্বরে ভুগছেন না তো? কিংবা সর্দি-কাশি বা গলাব্যাথার উপসর্গ নেই তো? এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে থার্মাল স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করল হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভা। রিপোর্ট পাঠানো হবে স্বাস্থ্য দপ্তরে। পুরসভার উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: লকডাউন নিয়মকে তুড়ি মেরে এইচআইভি শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠান, বিতর্কে সাংসদ মিমি ও এসপিকরোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে এ রাজ্যেও। আক্রান্তের সংখ্যা কত? কতজনই বা মারা গিয়েছেন? কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব মানতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, স্রেফ প্রচার পাওয়ার জন্য কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল সব রোগীকেই করোনা আক্রান্ত বলে দাবি করছে! সংবাদমাধ্যমকে সরকারি নথিতেই ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে আবার এই রাজ্যে কোভিড-১৯ বা করোনা টেস্টের সংখ্যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন খোদ নাইসেডের প্রধান শান্তা দত্ত। তিনি জানিয়েছিলেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষা অনেক কম হচ্ছে। কেন? রাজ্যে প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ানের অভাবের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হল হুগলির উত্তরপাড়ায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে রাস্তায় বেরোতেই বিপদ, পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধার করল পুলিশআরও পড়ুন: রপ্ত করে ফেলেছেন আদিবাসীদের ভাষা, করোনা যুদ্ধে দুই শিক্ষকই ভরসা প্রশাসনেরউত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, পুর এলাকাকে চারটি জোনে ভাগ করে প্রতিটি বাড়িতে যাবেন পুরসভার কর্মীরা। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে সকলেরই। তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক কমবে। চেয়ারম্যানের আরও বক্তব্য, অনেক সময় করোনা আক্রান্ত হলেও প্রথমদিকে তেমন কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার কারণে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান।