আবারও কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হল এক বাঙালির। এবার চেন্নাইতে উদ্ধার হল হগলির হিন্দমোটরের বাসিন্দা এক যুবকের দেহ। মৃত যুবকের নাম ভিক্টর রায়। চেন্নাইয়ের একটি হোটেলের বাথরুম থেকে ছাব্বিশ বছর বয়সি ভিক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে মৃত যবকের পরিবারকে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
হিন্দমোটরের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ভিক্টর বাবা- মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, চেন্নাইয়ে একটি বিখ্যাত অনলাইন শপিং সাইটের দফতরে কর্মরত ছিলেন ভিক্টর। দু' বছর আগে এই চাকরিতে যোগ দেন তিনি। গত ১৬ নভেম্বর হিন্দমোটরের বাড়িতে মা ও বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন ভিক্টর। ২৪ নভেম্বর আবার চেন্নাই ফিরে যান তিনি। চেন্নাইয়ের ১২ নম্বর রাজপাল নগরে থাকতেন ওই যুবক।
পরিবারের দাবি, গত শুক্রবার প্রতিদিনের মতো মায়ের সঙ্গে কথা হয় ভিক্টরের। এর পর শনিবার বহু চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁর পরিবার। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাত ৭.৪০ মিনিট নাগাদ চেন্নাই পুলিশের তরফে ফোন পান ভিক্টরের বাবা- মা। জানানো হয়, চেন্নাইয়ের একটি হোটেলের বাথরুম থেকে ভিক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ভিক্টর আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে ভিক্টরের সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুকেও দেখা গিয়েছিল। সেই বন্ধুকে খুঁজে বের করে কথা বলার চেষ্টা করছে চেন্নাই পুলিশ।
একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন ভিক্টরের বৃদ্ধ বাবা ভাস্কর রায় এবং মা শীলা রায়। ভাস্করবাবু অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী। ভিক্টরের মৃত্যুর খবর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার সকালেই মৃত যুবকের দেহ আনতে চেন্নাই রওনা দিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।