খড়গপুর আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়াংরিং ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে। শুক্রবার ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তার আগে দুই দিন ছাত্রটি ঘরবন্দি অবস্থায় ছিল।
খড়গপুর আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়াংরিং ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে। শুক্রবার ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তার আগে দুই দিন ছাত্রটি ঘরবন্দি অবস্থায় ছিল। তাঁকে কেউই ঘরের বাইরে বার হতে দেখেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ২২ বছরের ফাইজান আহমেদ। আদতে তিনি অসমের বাসিন্দা। গত দুই দিন তাঁকে ঘর থেকে বার হতে দেখেনি। এদিন সকালে তাঁর বন্ধু ও হোস্টেলের কয়েক জন ছাত্র ডাকাডাকি করতে শুরু করে। কিন্তু কোনও সাড়া পায়নি ছাত্রের। শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঢোকে ক্যাম্পাসে। দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ছাত্রের দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর হোস্টেলের ঘরের মেঝেতে পড়েছিল ছাত্রের দেহ। মুখের ওপর বসেছিল প্রচুর মাছি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দরজা ভাঙার দীর্ঘক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ জানতে হিজলি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
নিহত ছাত্রের এক সহপাঠী জানিয়েছেন, গত দুই দিন ধরে ফাইজান নিজেকে ঘর বন্দি করে রেখেছিল। তাঁর দেখা না পেয়ে বারবার ফাইজানকে তিনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু ফোনেও কোনও উত্তর পাননি। এদিন সকাল থেকেই ফাইজানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এসে দরজায় ধাক্কামারেন। কিন্তু তখনও কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। তারপরই আইআইটি কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানান। কর্তৃপক্ষই হিজলি থানার পুলিশকে খবর দেয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ছাত্রের দেহ।
ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। কী ভাবে ছাত্রের মৃত্যু হল তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। যোগাযোগ করা হচ্ছে অসমে ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পাশাপাশি ছাত্রের বন্ধু ও সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে কিনা সেই বিষয় মুখ খোলেনি পুলিশ।
অন্যদিকে খড়গপুর আইআইটির রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে ছাত্রের মৃত্যু হল তা নিয়ে সকলেই ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে।