মুর্শিদাবাদের রানিতলা এলাকায় উদ্ধার হল এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অন্যান্য দিনের মতই সোমবার সকাল থেকেই হাসিখুশি ছিল নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাকিনা খাতুন (১৫)। আচমকাই তাঁর এই মৃত্যু কেওই মেনে নিতে পারছে না। আত্মহত্যা নাকি খুন তাই নিয়েই এখন দানা বেঁধেছে রহস্য।
এলাকা সূত্রে খবর, মা ও দুই ভাই-বোন থাকত এক সঙ্গে। বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। কিছু দিন আগে দিদার মৃত্যু হয়েছে আর সেই কারণেই বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন সাকিনার মা। মা না থাকায় ঘটনার দিন সকালে বাড়ির যাবতিয় কাজ কর্ম সাকিনাই করেছিল। এমনকি ছোট ভাইয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তাও বলেছিল সে। আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতই ছিল সব কিছু। এমনকি এদিন তার ছোট ভাই মাঠে ঘাস কাটতে যাওয়ার আগে দিদির সঙ্গে স্বাভাবিক কথা বলে। পরে আচমকা প্রতিবেশীরা তার ভাইকে খবর দেয় ঘরের ঝুলন্ত অবস্থায় তার দিদির দেহ উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাগুইআটিতে বার সিঙ্গার খুনে ঘণীভূত রহস্য, নেপথ্যে কি সম্পর্কের টানাপোড়েন
মৃতার কাকা চাঁদু শেখ তাঁর দেহ উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতার কাকা চাঁদু শেখ জানিয়েছেন, 'আমি ভাবতেই পারছিনা, সকালেও আমার ভাইজির সঙ্গে কথা হয়েছে। ও যথেষ্টই হাসিখুশি ছিল তখনও। আর তার কিছু সময়ের মধ্যেই কি করে এমনটা হল তা উঠতে পারছিনা।' ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।