দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কোনও একটি স্লোগানকে ঘিরে গান তৈরির ঘটনা নতুন বিষয় নয়। তবে যেটা জানার বিষয় তা হল সেই গানটি আবার পোস্ট করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামাঙ্কিত একটি ইউটিউব চ্যানেলে।
আচমকা বিজেপির হলো কি! তৃণমূল শিবিরের একচেটিয়া গানের কথা ধার করে কোনও প্রচার চালাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। গত বিধানসভা নির্বাচনে খেলা হবে স্লোগান তুলে ও গান বেঁধে ভোট বৈতরণী পার করেছিল শাসক দল। খেলা হবে সেই শব্দগুচ্ছকে কাজে লাগিয়েই নতুন গান বানাচ্ছে বিজেপি বলে সূত্রের খবর।
'খেলা হবে' এই শব্দবন্ধ ছাড়া বাকি গানটি একেবারে নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, বাংলায় 'বদল হবে' স্লোগান। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কোনও একটি স্লোগানকে ঘিরে গান তৈরির ঘটনা নতুন বিষয় নয়। তবে যেটা জানার বিষয় তা হল সেই গানটি আবার পোস্ট করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামাঙ্কিত একটি ইউটিউব চ্যানেলে। বিজেপির তরফে গানটির একটি ভিডিয়োও তৈরি করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো জুড়ে রয়েছে বিরোধী দলনেতার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি।
তবে চ্যানেলটি তাঁর নিজের বলে মানতে চাননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন "ওই ইউটিউব চ্যানেলটি আমার না হলেও গানটি আমি শুনেছি। গানটি আমার ভাল লেগেছে এবং আমার সমর্থনও রয়েছে গানটির প্রতি।"এরই সঙ্গে তিনি জানান তিনি বলেন, "আমার কোনও ইউটিউব চ্যানেল নেই। তবে ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে আমার অ্যাকাউন্ট রয়েছে।"
গানটির প্রায় প্রতিটি লাইনেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হয়েছে। নাম না করে আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আক্রমণের নিশানায় উঠে এসেছেন ভাইপো অভিষেকও। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে, তার উল্লেখ যেমন গানটিতে করা হয়েছে, তেমনি সিন্ডিকেট নিয়েও খোঁচা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে খেলা হবে স্লোগান এবং গানটি তৈরি করেছিলেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য। যা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের কাছে হয়ে উঠেছিল বীজমন্ত্রের মত। সূত্রের খবর, ওই ইউটিউব চ্যানেলটি বিরোধী দলনেতার না হলেও তার অনুগামীদের একাংশ চ্যানেলটির পিছনে রয়েছেন।
তৃণমূলের সেই স্লোগানটি বিজেপির ব্যবহার করা নিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের উপমুখ্যসচেতক তথা মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, "ওরা দীর্ঘ দিন ধরেই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দলকে অনুসরণ ও অনুকরণ করে চলেছে। এক্ষেত্রেও যে তার ব্যতিক্রম হয়নি তাই দেখা যাচ্ছে। তবে এ ভাবে বাংলার মানুষের মন পাওয়া যায় না। বাংলার মানুষ আসল এবং নকল চিনে নিতে জানেন। তার প্রমাণ ওরা গত বিধানসভা নির্বাচনে হাতে পেয়ে গিয়েছে।"