কথায় আছে সব তীর্থ বারবার, আর গঙ্গাসাগর একবার। তবে সেসব কথা এখন অতীত। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে দেশ বিদেশের বহু মানুষই আসছেন গঙ্গাসাগরে। আপনি চাইলেন এখন দিনের দিন গঙ্গাসাগর থেকে ঘুরও চলে আসতে পারেন। আর শারীরিক অসুস্থতা কিম্বা বিপুল পরিমাণ তীর্থযাত্রীদের ভিড় ঢেলে যদি মকর সংক্রান্তির তিথিতে সাগর প্রাঙ্গনে এসে ডুব লাগিয়ে গঙ্গাস্নান করতে না পারেন তাহলেও কোনও চিন্তা নেই। ডিজিটাল যুবে এবার গঙ্গা স্নানের পুণ্য পাবেন ঘরে বসেই। মাত্র এক ক্লিকেই দঙ্গাজল এসে পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এবার ই-স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র কুয়িয়ার সার্ভিসের চার্জ দিলেই ঘরে বসে মিলবে গঙ্গাজল ও কপিলমুনির মন্দিরের সিঁদুর ও প্রসাদ।
প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে নিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে থাকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি এবারের সাগর মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত মেলা হিসাবে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে না গিয়েও এবার মানুষ যাতে ঘরে বসেই গঙ্গা স্নানের আনন্দ ও পুণ্য পান সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ই-স্নানের ব্যবস্থা করেছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। এবিষয়ে স্বয়ং জানিয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা শাসক পি উলগানাথন। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখ ও অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপাররা।
গঙ্গাসাগরের জল ও প্রসাদ পাওয়ার জন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা প্রশাসনের তৈরি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে ই-স্নান লিঙ্কে কিল্লক করে ঠিকানা ও যাবতীয় নথি দিলেই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যেম তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সুদৃশ্য পিতলের পাত্রে তা পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের কাছে। এবিষয়ে বেশ কয়েকটি কুরিয়ার সংস্থার সঙ্গে কথাও বলেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন। তবে কতজনকে এভাবে গঙ্গাজল সরবরাহ করা হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। এবার গঙ্গাসাগর মেলায় এই ই-স্নান মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলবে বলেই আশাবাদী দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসন।