অষ্টমীতেই প্রথম দেখা, অষ্টমীতেই বিয়ে। প্রথম দেখার ঘোর কাটল না, ফের বিয়ের পথে শ্রীরামপুরের যুগল। শীঘ্রই সামাজিক মতে বিয়ে করবেন সুদীপ-প্রীতমা।
বিয়ের তাড়াহুড়োতে মানা হয়নি সামাজিক মত। তাই দুর্গা মণ্ডপে বিয়ের পর সামাজিক মতে ফের বিয়ে করতে চলেছেন শ্রীরামপুরের যুগল। ফেসবুক থেকে প্রেমের উৎস। দর্গাপুজোতে পরিণতি। বিয়ে হলেও উপভোগ করা হয়নি বিয়ের রীতি নীতি। মনের মানুষের কথা মেনে বিয়ে করেছেন, এবার বাড়ির লোকের প্রথা মেনে বিয়ে করবেন প্রীতমা। মাস দুই আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল । এবার পুজোর অষ্টমীতে দেখা হলো প্রথম । দেখা হতেই বিয়ের প্রস্তাব পাত্রের। পাত্রীও এক পায়ে রাজি । দেখতে না দেখতেই হয়ে গেল বিয়ে । দুর্গা মণ্ডপেই ঢাক বাজিয়ে বিয়ে। প্রথমে মানতে নারাজ ছিলেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে অবশ্য বৌমাকে বরণ করে ঘরে তুললেন তাঁরাই। হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষালের সঙ্গে প্রথম দেখাতেই বিয়ে হয়ে যায় শেওড়াফুলির প্রীতমা ব্যানার্জির।
বন্ধুরা জানান,দুজনের ফেসবুকে পরিচয় জুলাই মাসে। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা অথবা হোয়াটসআ্যপে কথা হতো দুজনের । মাঝে মধ্যে হত ভিডিও কলও। তবে সামনাসামনি দেখা হয়নি কোনও দিন। অষ্টমীর দিন কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে গিয়ে প্রথম দেখা হয় দুজনের। প্রীতমাকে দেখে সেখানেই বিয়ের প্রস্তাব দেন সুদীপ। রাজি হয়ে যান প্রীতমা। কিন্তু বিয়ে যে তখনই হবে এমনটা ভাবেননি তাঁরা। বন্ধুরা প্রস্তাব দেয়, মা দুর্গাকে সাক্ষী রেখে তাহলে আজই হয়ে যাক বিয়ে। যেমন বলা তেমন কাজ। কলকাতায় প্যান্ডেল হপিং বাতিল করে সোজা হিন্দমোটরে ফিরে আসেন তাঁরা। কোনও পুরোহিত ছাড়াই পাড়ার দুর্গা পুজো মণ্ডপে মা দুর্গার সামনে ঢাক বাজিয়ে চার হাত এক হয়। তারপর বাজনা বাজিয়েই রীতিমতো শোভাযাত্রা করে বর-বৌকে বাড়ি পৌঁছে দেন বন্ধুরাই। হঠাৎ করা বিয়েতে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা।
তবে বড়দের কথা মেনে এবার পেটপুজো থাকছে বিয়েতে। রবিবার সুদীপের হিন্দমোটরের বাড়িতে প্রথম লক্ষ্মীপুজো করবে প্রীতমা। সোমবার প্রীতমার শেওড়াফুলির বাড়িতে বিজয়া দশমীর প্রণাম করতে যাবেন সুদীপ। প্রীতমাকে পেয়ে এখন বাঁধভাঙা আনন্দ সুদীপের মা আলপনা দেবীর। এখন তাঁর মুখে শুধু এক কথা-অবশেষে লক্ষ্মী এল দেশে।