'রাজ্যকে জেএমবি আলকায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার। হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জেরে উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে উত্তাল সারা দেশ। এবার উদ্বেগের মুখে বাংলাও। ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনেও সাঁড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
'রাজ্যকে জেএমবি আলকায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার। হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জেরে উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে উত্তাল সারা দেশ। এবার উদ্বেগের মুখে বাংলাও। কারণ ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনেও সাঁড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তোপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'ধর্মীয় কিছু উন্মাদ রাস্তায় নেমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার হাতে হাত দিয়ে বসে আছে। এমন সরকার পশ্চিমবঙ্গ আগে কখনও দেখেনি। ২০০ এর উপরে যাদের আসন, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী , ধর্মীয় উন্মাদকে হাতজোড় করে বলছেন, আপনারা এরকম করবেন না।' প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে।হাজারের বেশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন, জাতীয় সড়ক দখল করেছে দাঙ্গাবাজরা, অবিলম্বে সেনা নামান, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারির
এদিকে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশের একাধিক রাজ্যে আত্মঘাতী হামলার হুমকি আলকায়দার। নূপুর শর্মাকে বিজেপি সাময়িক বরখাস্ত করলেও বিতর্ক থামেনি। ইসলাম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর, দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিন পার হলেও বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে নিয়ে বিতর্ক লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে। ক্ষোভের আগুন নিভে যাওয়া তো দূরের কথা, তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, আরও একাধিক দেশে ভারতের সমালোচনায় যোগ দিয়েছে। অন্তত ১৫ টি দেশ এই ইস্যুতে তাঁদের সমালোচনা প্রকাশ করেছে। ইরাক, লিবিয়া, মালওয়েশিয়া , তুরস্ক-সহ এক ডজনেরও বেশি মুসলিম রাষ্ট্র এই সমালোচনায় যোগ দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ফোরক বাক্যটি বলেছে আলকায়দাই। আলকায়দা জানিয়েছে, 'নবীর সম্মানের জন্য লড়াই করতে,দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে তাঁরা আত্মীঘাতী হামলা চালাবে।'
আরও দেখুন, কে এই নুপুর শর্মা ? যার 'বিস্ফোরক' মন্তব্যে চাপের মুখে বিজেপি সরকার
ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিন ভোর হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে অবরোধ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর আবেদনে সাঁড়া দিল না বিক্ষোভকারীরা। ফের রাস্তা, রেল অবরোধ করতেই আমজনরা দুর্ভোগ বাড়ল। এধরণের জনস্বার্থ বিরোধী কর্মসূচি দমনে পুলিশও পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ১৪৪ ধারার পথে হাঁটতে চলেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন, ভবানীপুরে জোড়া খুনে পুলিশের জালে আরও ২, মূল অভিযুক্ত কি মেজো জামাইয়ের বন্ধু