কে এই নুপুর শর্মা ? যার 'বিস্ফোরক' মন্তব্যে চাপের মুখে বিজেপি সরকার
- FB
- TW
- Linkdin
হযরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে উত্তাল কানপুর। ইতিমধ্যেই চাপের মুখে বিজেপি তথা দেশ। তবে কে এই বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মা। নুপুর শর্মা মূলত ছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র। কিন্তু বিতর্কিত মন্তব্যের পর সেই পদ গিয়েছে।
ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে।
বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তাল পরিস্থিতিতে পুলিশ, হাজারের বেশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা করয়েছে । কানপুরের পুলিশ কমিশনার বিজয় সিং মীনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। চলবে বুলডোজারও।
ইসলাম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরও বিজেলি নেত্রী নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে যোগী সরকার এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিরোধীরা সওয়াল তুলছেন যে এখনও কেন নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। করার ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করার অধিকার কারুর নেই বলে দাবি করেন তারা।
বিজেলি নেত্রী নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ এবং থানে পুলিশ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এই ঘটনার জন্য যোগী সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানে হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এই কারণে তাকে বরখাস্ত করেছে বিজেপি হাইকমান্ড। বিজেপির দিল্লির মিডিয়া ইনচার্জ নবীন কুমার জিন্দালকেও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
নূপুর শর্মাকে পাঠানো সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটি লিখেছে, 'আপনি বিভিন্ন বিষয়ে দলের অবস্থানের বিপরীত মতামত প্রকাশ করেছেন। আপনাকে দল থেকে এবং আপনার দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হচ্ছে।'
সম্প্রতি হজরত মহম্মদের বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানপুর এলাকা। পাথর বৃষ্টি, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে। সংঘর্ষের সময় ২০ জন পুলিশ কর্মী সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
অপরদিকে, উত্তর প্রদেশের কানপুরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং গোষ্ঠীহিংসার জন্য বিজেপি'র নুপূর শর্মার প্ররোচনামূলক বিবৃতিকে দায়ী করে তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাল স্বরাজ ইন্ডিয়া।
স্বরাজ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক রাম বচ্চন বলেন, 'টেলিভিশনে নুপূর শর্মার প্ররোচনামূলক বক্তব্যের জন্যই কানপুরের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও গোষ্ঠীহিংসার ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার সমর্থনে বিজেপি সারা দেশেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। স্বরাজ ইন্ডিয়া কানপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানাচ্ছে, উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের পুলিশের উচিত নুপূর শর্মাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা।'