একেবারে বালিউড সিনেমার কায়দা। রেশনের দুর্নীতি রুখতে ছদ্মবেশে হানা দিলেন অফিসার। হাতে নাতে ধরা পড়লেন কেউ কেউ। শেষে আপাতত হুঁশিয়ারি দিয়ে সাবধান করলেন রেশন ডিলারকে।
মাথা থেকে ঘাড় বেয়ে পড়ছে নকল চুল। পরিষ্কার ঝকঝকে বাবুর চুলের দিকেই চোখ পড়ছে সবার। রেশন দোকানে দাঁড়িয়ে জেনে নিচ্ছেন সবার অভাব অভিযোগ। তাঁরপর নিজেই রেশনের জন্য দাঁড়িয়ে পড়লেন কার্ড হাতে। একেবারে হাতে নাতে ধরলেন রেশনের দুর্নীতি। এরপরই পরচুলা খুলে জানালেন নিজের পরিচয়। জানা গেল রেশনের দুর্নীতি ধরতে ডিলারদের কাছে এসেছেন স্বয়ং খাদ্য কর্মাধ্য়ক্ষ সিরাজ খান।
সিরাজ খানের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুড়া থানার মেছোগ্রামে রামপদ মাজির রেশন দোকানে দুর্নীতির অভিয়োগ আসছিল। পাশাপাশি গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা নিথভুক্ত করাচ্ছিলেন অনেকেই। একানেই শেষ হয়নি গ্রাহকদের অভিযোগ। রেশন দোকানে ওজনে কম দেওয়ার অভিয়োগ করছিলেন বেশিরভাগ ক্রেতা। তাই সুয়োগ পেয়ে আর দেরি করেননি খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। নিজেই সরেজমিনে রেশন দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে নেমে পড়েন ময়দানে। ছদ্মবেশে গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়ালেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। রেশন দোকান খুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্রাহকদের রেশন দোকানে দাঁড় করিয়ে রাখা। বাটখারা ও কেরোসিন দেওয়ার জায়গায় কারচুপি সবই ধরলেন হাতে নাতে। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ শুনলেন। এই ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য রেশন ডিলারকে সাবধান করলেন। জানিয়ে গেলেন, এবারই শেষ অন্যথায় আইনি পথে হাঁটবে প্রশাসন।