লটারির টিকিটে ১ কোটি জিতলেন দক্ষিন ২৪ পরগনার জয়নগরের বৃদ্ধ। দিন আনা-দিন খাওয়া পরিবারের একযোগে এত ধনরাশি কখনও আসতে পারে তা বাড়ির কেউই আশা করেনি। তাউ আচমকা ভাগ্য ফেরার খবরে হতচকিত সকলেই।
কয়েকদিন আগেই লটারি(lottery ticket) কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন মেদিনীপুরের এক রাজমিস্ত্রী(mason)। এমনকী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নিতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাওয়া গেল দক্ষিন ২৪ পরগনায়। লটারি টিকিট কেটে এক কোটি টাকা পেলেন দক্ষিন ২৪ পরগনার(South 24 Parganas) জয়নগরের(Joynagar) বাসিন্দা প্রবীর প্রামানিক। এখন নিরাপত্তার কারণে বাড়ী থেকে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না তিনি। রাত পেরোতেই নিরাপত্তা চেয়ে থানায় হাজির হয়েছেন ওই বৃদ্ধ।
জয়নগর বাস-ট্রেকার ইউনিয়নের কর্মী প্রবীর প্রামানিক বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে নিয়েই জয়নগর পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁসারী পাড়ায় থাকেন। এক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় প্রচুর দেনা করতে হয়েছিল তাঁকে, নিজের শরীরে একটি বড় অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তার জন্যও বাজারে বেশ কিছু দেনা আছে। তাই নিজের ভাগ্যকে যাচাই করতে প্রবীরবাবু মাঝে মধ্যেই লটারির টিকিট কাটেন। আর তাতেই স্বয়ং দরজায় এসে কড়া নাড়তে শুরু করেছেন ধন লক্ষ্মী।
আরও পড়ুন- পুরভোট কোথায় কোন CPIM প্রার্থী দাঁড়াচ্ছেন জেনে নিন, রইল সম্পূর্ণ তালিকা
সূত্রের খবর, বুধবার ও তিনি ৬ টাকা দিয়ে ডিয়ার লটারির ১ কোটি টাকার একটা টিকিট কাটেন। তারপর সন্ধ্যায় তার ফোনে খবর আসে সেই টিকিটে এক কোটি জিতেছেন প্রবীর বাবু। এরপর থেকেই আনন্দে ও ভয়ে বাড়ির দরজা বন্ধ করে স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে আছেন প্রবীর বাবু। সাংবাদিকরা পৌঁছতেই প্রথম দরজা খুললেন তার স্ত্রী আরতি প্রামানিক। আনন্দে বাড়িতে এসে বৃদ্ধা মাকে জড়িয়ে ধরেন প্রবীর বাবু। শেষ জীবনে ছেলের লটারি টিকিটে এক কোটি টাকা পাওয়ার কথা শুনে আনন্দে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা মা-ও। খুশি পাড়া প্রতিবেশী, এমনকী আত্মীয়-স্বজনেরাও। এদিকে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের একযোগে এত ধনরাশি কখনও আসতে পারে তা বাড়ির কেউই আশা করেনি। তাউ আচমকা ভাগ্য ফেরার খবরে হতচকিত সকলেই।
আরও পড়ুন- শীতের আমেজ মেখে জঙ্গলের বাইরে আনাগোনা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের, খুশি সুন্দরবনের পর্যটকেরা
লটারির প্রাপ্য টাকা নিয়ে প্রথমে দেনা মুক্ত হতে চান প্রবীর বাবু। তারপর ইন্দিরা আবাস যোজনায় পাওয়া তার অসমাপ্ত বাড়িটিকে কমপ্লিট করতে চান তিনি এবং বাকি টাকায় বৃদ্ধা মাকে নিয়ে স্বামী স্ত্রী সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে চান, জানালেন সাংবাদিকদের।স্ত্রী আরতি প্রামানিক বিশ্বাসই করতে পাচ্ছেন না যে তার স্বামী এখন এক কোটি টাকার মালিক। তিনি ও চান এই টাকায় ধার দেনা মিটিয়ে বাকি জীবনটা সুখে শান্তিতে কাটাতে।