পুরভোটের আগেই আধারকার্ড জালিয়াতি চক্রকে হাতেনাতে ধরল মালদহের মানিকচক থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ একটি প্রিন্টার একটি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সামগ্রী।
মালদহ-তনুজ জৈনঃ- পুরভোটের আগেই আধারকার্ড ( Aadhar Card) জালিয়াতি চক্রকে হাতেনাতে ধরল মালদহের মানিকচক থানার পুলিশ (Manikchak Police in Malda District । উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ একটি প্রিন্টার একটি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সামগ্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার মানুষের কাছে ৫০০ টাকার বিনিময়ে জাল আধারকার্ড তৈরী করছিল ধৃত যুবক। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে মানিকচক থানার আইসি আক্ষয় পালের নেতৃত্বে মানিকচকের গোপালপুরের বালুটোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আর্ধাকার্ড তৈরীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম সহ এক যুবককে গ্রেফতার (Arrest) করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অধারকার্ড চক্রের সঙ্গে যুক্ত ধৃতের নাম মজিবুর রহমান। মজিবুরের বয়েস ২৪ বছর। জাল আধার কার্ড চক্র সঙ্গে আরও কারা যুক্ত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে জড়ালো তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রের খবরে মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পালের নির্দেশে থানার এএসআই ভঞ্জন ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের দল অভিযান চালায় বালুটোলা গ্রামে।সেখানেই এক ব্যক্তির বাড়িতে বসে রমরমিয়ে চলছিল জাল আধার কার্ড তৈরির এই চক্র। জাল আধার কার্ড তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ একটি প্রিন্টার একটি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সামগ্রী। এলাকার মানুষের কাছে ৫০০ টাকার বিনিময়ে জাল আধারকার্ড তৈরী করছিল ধৃত যুবক। পুলিশ জানাচ্ছে, উদ্ধার হয় সমস্ত সামগ্রী ব্যবহার করেই জাল আধার কার্ড তৈরি করা হচ্ছিল। ঘটনায় মজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এই আধার চক্রের সঙ্গে আরো কারা যুক্ত বাকিদের খতিয়ে দেখতে জরালো তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ।রবিবার ধৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চালাতে পুলিশ মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদেও চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এমনই এক ঘটনা উঠে এসেছে। যা অনবরত প্রশাসনের কাছে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে ওঠা অনলাইন শপিংয়ের আড়ালে 'বায়োমেট্রিক' তথ্য সমন্বিত আধার কার্ডের বেআইনি কারবার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের গ্রাম দেওয়ান সরাই এলাকায় রীতিমতো ফাঁদ পেতে বসেছে এই বেআইনি কারবার। অনলাইন শপিংয়ের আড়ালে চলছে আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার কারবার। সেক্ষেত্রে কোনওরকম তথ্য যাচাই না করেই মোটা টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য সাথী ও আধার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়। তারপরই গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে অপরাধী এবং 'ডিভাইস' উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।