'আমাদের সকলকে জেলে ঢোকালেও বাংলার মানুষ মমতার সঙ্গে থাকবেন', বীজপুরের বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন মন্ত্রী

পার্থ ভৌমিক আরও বলেন বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে এতে বিধায়কের কোনও সম্মানহানি হয়নি। 'আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দল করি এভাবে আমাদের সকলকে মেলাইন করা যাবে না।' কেন্দ্রের সমালোচনা করার সময় তিনি বলেন আগে এই দেশের মানুষ সিবিআই, ইডি আর ইনকমট্যাক্স বিভাগকে খুবই সম্মানের চোখে দেখত। কিন্তু এখন আর তা হয় না।

Saborni Mitra | Published : Sep 4, 2022 6:35 PM IST

সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে যাওয়ার পরেই বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে দিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এলেন নৈহাটি কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন, বলেন রাজনৈতিক কারণে সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সৈনিকদের এভাবে আটকানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন সিবিআইকে তিনি কোনও দোষ দেন না। তাদের কাজ তাদের করতে হয়। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি এদের রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে। এতে সিবিআই-এর সম্মানহানি হচ্ছে- এটা সিবিআই অফিসাররাও জানেন।' তিনি আরও বলেন 'আমাদের সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যদি একা বাইরে থাকেন তাহলেও বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকবেন। ' পার্থ ভৌমিক আরও বলেন শুধু বাংলা নয় গোটা ভারতেই এই একই ছবি। 

এদিন পার্থ ভৌমিক আরও বলেন বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে এতে বিধায়কের কোনও সম্মানহানি হয়নি। 'আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দল করি এভাবে আমাদের সকলকে মেলাইন করা যাবে না।' কেন্দ্রের সমালোচনা করার সময় তিনি বলেন আগে এই দেশের মানুষ সিবিআই, ইডি আর ইনকমট্যাক্স বিভাগকে খুবই সম্মানের চোখে দেখত। কিন্তু এখন আর তা হয় না। তিনি আরও অভিযোগ করেন বিজেপির কথা মত চলতে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। শুধু কেন্দ্রীয় সংস্থা নয় মিডিয়ার ওপরেও অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

রবিবার সকালে থেকেই বীজপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা  একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট ৬টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি চালায় সিবিআই। রবিবার সকালে থেকেই হালিশহর স্টেশন রোডে বাড়ি মঙ্গলদীপ ভবনে সকাল থেকে দীর্ঘ চার ঘন্টারও  বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি একই সঙ্গে কলকাতার টালাপার্ক, পাইকপাড়া আর লেকটাউনের তিনটি বিলাসবহুল আবাসনে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সুবোধ অধিকারীর পাশাপাশি তাঁর ভাই কমল অধিকারীর ওপরেও নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। 


এদিন যখন হালিশহরের সুবোধ অধিকারীরর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল তখনই একটি দল পৌঁছে যায় কলকাতার লেকটাউনে। লেকটাউনের বিলাসবহুল আবাসনের ১৭তলাতে সুবোধ অধিকারীর ফ্ল্যাট। সেখানে সিবিআই-এর ৬ আধিকারিক তল্লাশি চালায়। সুবোধ অধিকারী ও তাঁর ভাই কমল অধিকারীর নাম জড়িয়ে পড়েছে চিটফাণ্ডকাণ্ডে। তিনি কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রধান। অধিকারী পরিবারকে টানা ৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। তবে পার্থ ভৌমিকের কথায় বিধায়কের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সিবিআই। 

Share this article
click me!