চিট ফাণ্ডকাণ্ডে এবার CBI-র নজরে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, একসঙ্গে ৬ জায়গায় হানা

চিট ফান্ডকাণ্ডে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের পর সিবিআই-এর নজরে আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবোধ অধিকারী। তিনি আবার বীজপুরের বিধায়কও। রবিবার সকালে থেকেই তাঁর একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

চিট ফান্ডকাণ্ডে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের পর সিবিআই-এর নজরে আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবোধ অধিকারী। তিনি আবার বীজপুরের বিধায়কও। রবিবার সকালে থেকেই তাঁর একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট ৬টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি চালায় সিবিআই। রবিবার সকালে থেকেই হালিশহর স্টেশন রোডে বাড়ি মঙ্গলদীপ ভবনে সকাল থেকে দীর্ঘ চার ঘন্টারও  বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি একই সঙ্গে কলকাতার টালাপার্ক, পাইকপাড়া আর লেকটাউনের তিনটি বিলাসবহুল আবাসনে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সুবোধ অধিকারীর পাশাপাশি তাঁর ভাই কমল অধিকারীর ওপরেও নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। 


এদিন যখন হালিশহরের সুবোধ অধিকারীরর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল তখনই একটি দল পৌঁছে যায় কলকাতার লেকটাউনে। লেকটাউনের বিলাসবহুল আবাসনের ১৭তলাতে সুবোধ অধিকারীর ফ্ল্যাট। সেখানে সিবিআই-এর ৬ আধিকারিক তল্লাশি চালায়। সুবোধ অধিকারী ও তাঁর ভাই কমল অধিকারীর নাম জড়িয়ে পড়েছে চিটফাণ্ডকাণ্ডে। 

Latest Videos

স্থানীয় সূত্রে খবর এদিন সকালের পর দুপুরেও সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তবে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া গেলকিনা তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি সিবিআই। 

সিবিআই সূত্রের খবর বীজপুরে সুবোধ অধিকারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চিট ফান্ডকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তৃণমূ কংগ্রেস নেতা ও হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যাম রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই একই মামলায় এবার সিবিআই-এর নজরে সুবোধ ও তাঁর ভাই কলম অধিকারী। 

সিবিআই সূত্রের খবর বর্ধমানের চিট ফান্ড সানমার্গ কো অপারেটিভ বোর্ডের সদস্য হিসেবে অভিযুক্তরা একাধিক সুবিধে গ্রহণ করেছিল। তদন্তে দেখা গেছে ট্রাস্টের একটি গ্রুপ কোম্পানি থেকে রাজু সাহানির মালিকানাধীন সংস্থার অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০ লক্ষ চাকা স্থানান্তর করা হয়েছিল। এই টাকা বেআইনি বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তাদের অনুমান দরিদ্র বিনিয়োগরারী যারা টিট ফান্ডে টাকা রেখেছিল সেই টাকাই তাদের অনুমোদন ছাড়া পাঠান হয়েছিল। জনগণের থেকে টাকা সংগ্রহের অবৈধ ব্যবসাও চালান হত। 

সিবিআই-এর অনুমান রাজু সাহানি ২০১৮-১৯ সালে তাঁর বাড়িতেই ট্রাস্ট্রে চেয়ারম্যানের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। আর ২০১৮ সালে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছিলেন। তদন্তকারীদের অনুমান ট্রাস্টের সদস্যদের টাকা দিয়ে তাদের বিনা অনুমতিতেই একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। যা বেআইনি। 

শুভেন্দু বনাম কুণাল, তরজায় অভিষেকের 'বিনয় মিশ্রের সঙ্গে কথা বলার অডিও টেপ'

'তৃণমূল বলেই কী টার্গেট?' হালিশহরের চেয়ারম্যানের জামিন নাকচ হতেই প্রশ্ন রাজু সাহানির আইনজীবীর

২৮ কাঠা জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল রাজু সাহানি, পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর

Share this article
click me!

Latest Videos

হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results
ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে শিক্ষকদের জোরদার বিক্ষোভ! দাবি সঠিক তদন্তের! | Bengal Tab Scam
'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের (TMC) পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
Bear Rescue Operation | বরফের মধ্যে ভাল্লুকের প্রান বাঁচাল ভারতীয় সেনা, দেখুন দুঃসাহসিক ভিডিও