পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছে। বিজেপির বিশাল মিছিল থেকেই তেমনই আওয়াজ তুললে দলীয় নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পাঁচ দিন পরে বিজেপি মিছিল করে কলকাতায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছে। বিজেপির বিশাল মিছিল থেকেই তেমনই আওয়াজ তুললে দলীয় নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পাঁচ দিন পরে বিজেপি মিছিল করে কলকাতায়। সেই মিছিল থেকেই দুর্ণীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতারির দাবি উঠল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে কলকাতার রাজপথে বিজেপির মিছিল। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিত্ব থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু বিজেপির মিছিলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাজিয়ে এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে তাঁর কোমরে দঁড়ি পরানো হয়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বাকি নেতাদের বিরুদ্ধেও স্লোগান তোলা হয়।
উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ এই দাবি নিয়ে বিজেপির মিছিল কলেজ স্ট্রিট থেকে মধ্য কলকাতার রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ। চোর ধরো জেলে ভরো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অপসারণ চাই দাবি সম্মিলিত মিছিলে বিজেপি কর্মীদের সাথে পা মিলিয়ে হাটছেন রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব।
বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল ও রাজ্য সরকার এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমেছে দল। কিন্তু কতটা ড্যামেড কন্ট্রোল করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন তৃণমূলের এটি একটি বড় ক্ষতি। তিনি আরও বলেছেন তৃণমূল বুঝতে পেরেছে তাদের সময় আসন্ন। রাজ্যের জনগণ বুঝতে পেরে গেছে মুখোশের আড়ালে মুখ্যমন্ত্রীর কী মুখ লুকিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন বাংলার মানুষ বুঝতে পেরেছে এই জাতীয় কাজের অনুপ্রেঢরনা কোথা থেকে আসছে।
আগে থেকে শ্রাবণ মাসের অমাবস্যা উপলক্ষ্যে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কালী পুজো করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু আচমকাই সেই কর্মসূচি বাতিল করে মিছিল আয়োজন করে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ে সহ বাকি তৃণমূল নেতাদেরও গ্রেফতারির দাবি উঠেছে বিজেপির মিছিল থেকে।
বুধবার কলকাতায় মিছিল বের করেছিল সিপিএম। তার পরে বৃহস্পতিবার বিজেপির। তবে এই মিছিল ঘিরে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই দলের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল বলেন, ‘‘এত দিন শুনেছি লোকে রাত জেগে ভোটের ফলাফল দেখেন। গতকাল দেখলাম, টাকা গোনার ফলাফল দেখতে মানুষ রাতভর অপেক্ষা করছেন। বিজেপির মিছিলে জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মত।