'ভুল চিকিৎসা'য় যুবকের মৃত্যু, নার্সিংহোমের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ পরিবারের

  • ফের ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ
  • প্রাণ গেল বছর ছাব্বিশের এক যুবকের
  • নার্সিংহোমের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ পরিবারের 
  • বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনা
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 22, 2020 7:01 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  ভুল চিকিৎসার কারণেই কি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বছর ছাব্বিশের তরতাজা যুবক? নাসিংহোমের সামনে মৃতদেহ এনে বিক্ষোভ দেখালেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠীর সকালে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের রামপুরহাট শহরে। শেষপর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন: বর্ধমানে কৃষি বিলের সমর্থনে বিজেপির মিছিল, বেধড়ক মারের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

মৃতের নাম প্রসেনজিৎ দাস। বাড়ি, রামপুরহাট শহরের কালিসাড়া পাড়া এলাকায়। বাবা জটাই দাস জানিয়েছেন, চলতি বছরে জুন মাসে ছেলের গলব্লাডারে স্টোন ধরা পড়ে। তাঁকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে সেখানকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় ওই যুবককে। ওই নার্সিংহোমের মালিক অশোক চট্টোপাধ্যায় আবার সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক। তারপর? পরিবারের লোকেদের দাবি,  ৪ জুন প্রসেনজিতের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর শারীরিক অবস্থায় অবনতি ঘটতে থাকে ক্রমশই। শরীরের পচন ধরে, ফুলে যায় পেট। একই নার্সিংহোমে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়, কিন্তু ক্ষতস্থানটি আর ঠিক হয়নি। এরপর নার্সিংহোমে কর্তৃপক্ষ নিজেদের খরচে রোগীকে পাঠিয়ে দেয় কলকাতার একটি নার্সিংহোমে। 

আরও পড়ুন: অ্যানিমেশন ছবিতেই করোনার সতর্ক বার্তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের

কলকাতার নার্সিংহোমে যখন ভর্তি করা হয়, তখন চিকিৎসকরা  জানিয়ে দেন, প্রসেনজিতের পিত্তনালী ফুটো হয়েছে। এরপর প্রথমে রামপুরহাটের নার্সিংহোমে, শেষে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার সকালে মারা যান প্রসেনজিত।  বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে যে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল, সেই নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ,  ভুল চিকিৎসার কারণে মারা গিয়েছেন প্রসেনজিৎ দাস। ঘণ্টা তিনেক পর পুলিশি মধ্যস্থতায় মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

Share this article
click me!