কাটোয়ার শহরের গৌরাঙ্গপাড়ার বাসিন্দা অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন। পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এইচডি ইউনিটে ট্রান্সফার করা হয় তাঁকে।
রোগীর তাণ্ডবে তটস্থ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এইচ.ডি.ইউনিটের নার্স থেকে কর্মীরা। এইচডি ইউনিটে (HDU) ভরতি থাকা রোগী (Patient) অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৪) রাত একটা নাগাদ আচমকা বেড ছেড়ে উঠে ঘরের মধ্যে ভাঙচুর শুরু করে দেয়। ভেন্টিলেশন যন্ত্র থেকে মনিটার সহ ইলেক্ট্রিক প্লাগ, সকেট কিছুই বাদ যায়নি। প্রায় পঞ্চাশ মিনিট ধরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর রোগীর আত্মীয়রা এসে তাকে আটকাতে সক্ষম হয়।
এইচডি ইউনিটে ডিউটিতে থাকা কোন সিকিউরিটি বা হাসপাতালের কর্মীরা রোগীকে আটকাবার চেষ্টা করেননি। অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাণ্ডবের সামনে পড়ে দুজন নার্স অল্প বিস্তর জখম হন। ইউনিটের কর্মীরা উন্মত্ত রোগীর হাত থেকে রেহাই পেতে পাশের ঘরে দরজা বন্ধ করে আশ্রয় নেওয়ার ছবি দেখা যায়।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় ঘটনার কথা স্বীকার করে ফোনে বলেন, সোডিয়াম-পটাশিয়াম কমে যাওয়া রোগী এরকম উন্মত্ত হয়ে ওঠে তা তিনি চিকিৎসক জীবনে দেখেননি। রোগী বলেই হাসপাতাল কর্মীরা ওর গায়ে হাত দিতে পারেনি। ইউনিটের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সুপার আরও বলেন, আমরা ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠাবো। রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এই বিষয়ে হাসপাতালের কেউ ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাইছে না।
কাটোয়ার শহরের গৌরাঙ্গপাড়ার বাসিন্দা অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন। পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এইচডি ইউনিটে ট্রান্সফার করা হয় তাঁকে। গভীর রাতে এইচ ডি ইউনিটে তাণ্ডব শুরু করেন তিনি বলে অভিযোগ।