বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার কাজ এর আগে বহুবার প্রশংসিত হয়েছে। তবে এবার খোদ বিষ্ণুপুরের মন্দির দেখে মোহিত হলেন মার্কিন রাষ্ট্র দূত। বৃহস্পতিবার দুপুরে মল্লরাজাদের প্রাচীন শহর বিষ্ণুপুরে আসেন মার্কিন রাষ্ট্র দূত পট্টি হফম্যান। দেখা মাত্রই মুগ্ধ তিনি। তাঁর উপস্থিতিতে এই দিন বিশেষ আয়োজন ছিল বিষ্ণুপুর ঘিরে।
এদিন তিনি শুধু মাত্র মন্দির দর্শনেই আসেননি, সঙ্গে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ দেখতে হাজির হন। দুপুর ১২টা নাগাদ বিষ্ণুপুরের একটি রেস্তোরাতে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন মল্লরাজদের প্রাচীন মন্দির পরিদর্শন করতে। প্রথমে তিনি পৌছে যান শ্যামরায় মন্দিরে, সেখানেই বেশকিছুটা সময় কাটান তিনি। শ্যামরায় মন্দিরের অপূর্ব টেরাকোটার কারুকার্য দেখে অভিভূত হন তিনি। নিজের মোবাইল বের করে মন্দিরের টেরাকোটার কাজ ক্যামেরা বন্দীও করে নেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, এরপর জোড় মন্দির এবং পরে রাসমঞ্চও ঘুরে দেখেন।
উপস্থিত আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তাদের থেকে জেনে নেন মন্দিরের ইতিহাস থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি তথ্য। এককথায় বিষ্ণুপুরের প্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন এবং টেরাকোটার অপূর্ব কারুকার্য দেখে মোহিত হয়ে পড়েন মার্কিন রাষ্ট্র দূত পট্টি হফম্যান। সঙ্গে এতও আশ্বাস দেন যে তিনি বলেন বিষ্ণুপুর মন্দির দেখতে আসার জন্য মার্কিন পর্যটকদেরও তিনি প্রস্তাব দেবেন। ফলে তা বিষ্ণুপুরের পর্যটনের ক্ষেত্রে এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে তা বলাই বাহুল্য।