তিন তালাক দিয়ে বউকে খুন! বিল পাশের পরেও এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়

  • রাজ্য়সভায় তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পরেও স্বামীর থেকে তিন তালাক পেয়ে খুন হতে হল ব্যক্তিকে
  • জানা গিয়েছে তাস খেলা নিয়ে বিবাদের জেরে এই মর্মান্তিক পরিণতি
  • ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার গৌরি গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের
  •  বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আজ সকালে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাসিন্দার

swaralipi dasgupta | Published : Aug 1, 2019 10:05 AM IST

রাজ্য়সভায় তিন তালাক বিল পাশ হওয়ার পরেও স্বামীর থেকে তিন তালাক পেয়ে খুন হতে হল ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে তাস খেলা নিয়ে বিবাদের জেরে এই মর্মান্তিক পরিণতি। ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার গৌরি গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের। মৃতা গৃহবধূর নাম নূর বানু। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আজ সকালে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাসিন্দারা। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতা গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। 

গ্রামের বাসিন্দাসহ মৃতার পরিবারের লোকজন দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ইটাহার থানার ডামডোলিয়া গ্রামের বাসিন্দা নূর বানুর সঙ্গে বিয়ে হয় রায়গঞ্জের গৌরী গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণবিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ  সুন্দরলালের৷  

আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্রপুরের দম্পতি হত্যায় নয়া মোড়! ব্যক্তিগত যোগের খোঁজ পুলিশের কাছে

স্বামী সুন্দরলালের তাস খেলা নিয়ে স্ত্রী নূর বানুর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই চরম বিবাদ লেগে থাকত। স্ত্রীকে ব্যাপক মারধরও করত মহম্মদ সুন্দরলাল। দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশই বাড়ছিল। একবার মহম্মদ সুন্দরলাল তার স্ত্রী নূর বানুকে তালাকও দেয়।  এনিয়ে নূর বানু তাঁর বাবা মাকে জানায়। নূরের বাবা মা ও পরিবারের লোকজন দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামে এসে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথাও বলে। গত ছদিন আগে গ্রামে তাঁদের এই বিবাদ নিয়ে একটি সালিশি সভাও হয়। সালিশি সভাতেই জানা যায় মহম্মদ সুন্দরলাল স্ত্রী নূর বানুকে একবার তালাক দিয়েছিল।

বুধবার রাত দশটা নাগাদ স্বামী মহম্মদ সুন্দরলাল স্ত্রী নুর বানুকে আবার তিন তালাক দেয়।  এর পরই নূর বানু তাঁর মাকে ফোন করে বলেন, তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ফেলবে। এরপর সকাল হতেই নূর বানুর পরিবারের লোকজন ছুটে আসে দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামে। তাঁরা এসে দেখতে পান, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁদের মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। 

সূত্রের খবর বুধবার রাতেই স্বামী মহম্মদ সুন্দরলাল স্ত্রী নুর বানুকে তিন তালাক দিয়েছিল। তারপরই আজ সকালে নূর বানুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতা নূর বানুর স্বামী মহম্মদ সুন্দরলাল সহ-শ্বশুর শ্বাশুড়ি সবাই পলাতক। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা  দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে দোষীদের চরমতম শাস্তির দাবি তুলেছেন দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

Share this article
click me!