দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। মালদহ থেকে এক ব্য়ক্তিকে আটক করল পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ, বিধায়কের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি মৃতের স্ত্রীর
মিশুকে স্বভাবের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এলাকায়। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোমবার সকালে স্থানীয় বালিয়া মোড়ে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি বন্ধ দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার হয় বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে এসেছে পুলিশের। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধের কারণে মারা গিয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়। আত্মহত্যা করেছেন তিনি। শরীরে আর কোনও জায়গায় আঘাতের চিহ্ন নেই। এর আগে ঘটনার দিনে সুইসাইড নোটে উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।
মালদহ থেকে মঙ্গলবার যাঁকে আটক করেছে পুলিশ, তাঁর নাম নিলয় সিং। মালদহ শহরের মকদমপুর এলাকায় একটি আবাসনে সপরিবারে থাকেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, বিধায়কের সুইসাইড নোটে ও পরিবারের দায়ের করা এফআইআর-এও নাম রয়েছে সমবায় ব্যাঙ্কের ওই কর্মীর। ইংরেজবাজার থানা থেকে নিলয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় রায়গঞ্জ নিয়ে চলে যায় সিআইডি-এর বিশেষ তদন্তকারী দল।
স্বামীর সঙ্গে যে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পরিচয় ছিল, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন নিলয় সিং-এর স্ত্রী। তিনি বলেন, 'বিধায়ক হওয়ার আগে থেকে দেবেনবাবুর সঙ্গে আমার স্বামীর পরিচয়। আমার স্বামী একসময়ে ওনার বাড়িতে ভাড়াও থাকতেন।' নিলয়কে নির্দোষ দাবি করে তাঁর স্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দেবেন্দ্রনাথ রায় মালদহের একটি সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি করার সুবাদে মৃত বিধায়কের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্তের। মঙ্গলবার অপর অভিযুক্ত মাসুদ আলি সন্ধানে মালদহের চাঁচোলের মতিহারপুর পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামেও অভিযান চালায় পুলিশ। তবে মাসুদের সন্ধান মেলেনি, তাঁর বিলাসবহুল গাড়িটি আটক করা হয়েছে।