সংক্ষিপ্ত

  •  সিআইডিতে ভরসা রাখছে রাজ্য় সরকার
  • হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক খুনে নয়া মোড়
  • রাজনৈতিক প্রভাব দেখা হবে না বললেন স্বরাষ্ট্রসচিব
  • অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কী তত্ত্ব দিলেন আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়
  •  

বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও সিআইডিতে ভরসা রাখছে রাজ্য় সরকার। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক খুনে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা হবে না বলে জানালেন রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়। গেরুয়া ব্রিগেড খুনের কথা বললেও আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত দিলেন  তিনি।  

এদিন নবান্নে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বিধায়কের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যুর বিষয়টি সামনে এসেছে। রাসায়নিক পরীক্ষার পর বাকি তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটা আত্মহত্যা। তাঁর পকেটে যে কাগজ পাওয়া গেছে, সেখানে দুজনের মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে । তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্যও লেখা আছে। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে কি না তা তদন্ত করে দেখছে রাজ্য পুলিশ।

এদিকে বিধায়কের মৃত্যু ঘিরে বনধে উত্তাল চেহারা নিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরকারি  বাস ভাঙচুর করেছে। বহু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  তবে বিধায়কের খুনের বিষয়ে কোনও ধরনের সূত্র ধরাচ্ছে না রাজ্য় সরকার। তবে স্বরাষ্ট্রসচিব আশ্বাস দিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় যতদূর তদন্ত করা উচিত ততদূরই তদন্ত করবে রাজ্য় সরকার। সেই কারণেই সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। প্রয়াত বিধায়কের জামার পকেট থেকে যাদের নাম ও  ফোন নম্বর মিলেছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

সোমবার সকালে হেমতাবাদ থানার অন্তর্গত বালিয়ামোড় এলাকায় স্থানীয় বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহটি প্রথম চোখে পড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁরাই খবর দেয় হেমতাবাদ থানায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।

তবে বিধায়কের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে দাবি, রবিবার সন্ধায় বালিয়ামোড় এলাকার এক চায়ের দোকানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন দেবেন্দ্রবাবু। রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু রাত ১ টা নাগাদ কেউ বা কারা তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়কের ভাইঝি। তারপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।