ফের নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ বাংলার বুকে। ঘুটিয়ারি শরীফ এলাকায় দিনের-পর-দিন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে, ইতিমধ্যেই সুনীল সিং নামে ওই বছর একান্নোর প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে ঘুটিয়ারি শরীফ থানার পুলিশ।
ফের নাবালিকা ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগ বাংলার বুকে। ঘুটিয়ারি শরীফ এলাকায় দিনের-পর-দিন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সুনীল সিং নামে ওই বছর একান্নোর প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে ঘুটিয়ারি শরীফ থানার পুলিশ (Ghutiari sharif Police Station)।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ঘুটিয়ারি শরীফ ফাঁড়ির সুনীল সিং নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দিনের পর দিন এক নাবালিকাকে ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, সকলের আড়ালে লাগাতার এই অপরাধ করে এসেছে ধৃত। এদিকে ঘৃণ্য এই অপরাধ যাতে প্রকাশ্যে না আসে সেই ছকও কষে ওই প্রৌঢ়।এতদিন খুনের হুমকিও দেওয়া হত নির্যাতিতাকে। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে জানালে খুন হতে হবে ওই নাবালিকাকে এমন হুমকি দিয়ে গা বাঁচিয়ে এসেছেন সুনীল সিং। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।শুক্রবার বুকে সাহস নিয়ে শেষ অবধি নির্যাতিতা সমস্ত ঘটনা তার মাকে জানিয়ে দেয়। এ বিষয়ে ঘুটিয়ারী শরীফ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই ৯ তারিখে শিলিগুড়ির একটি হোটেল থেকে বস্তাবন্দি এক নাবালিকার নগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। সেবারে ধর্ষণ করে খুনে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি মাসে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মুর্শিদাবাদে হুড়শি এলাকায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন, গরু পাচার মামলায় এনামূল হককে গ্রেফতার করল ইডি, দিল্লির জেলা আদালতে আজই করা হবে পেশ
তবে শুধু গ্রামঞ্চলেই নয় একেবারে খাস কলকাতা লাগোয়া পাশ্ববর্তী অঞ্চলে পুলিশের নাকের ডগায় চলেছে ভয়াবহ অপরাধ। নিরালায় নয়, ক্যামেরার সামনেই চলেছে ধর্ষণকাণ্ড বাংলাই বুকে। প্রসঙ্গত, নিউটাউন পর্ণ কাণ্ডে শিকার হন শহরে একাধিক উঠতি মডেল। সিরিয়ালে-সিনেমার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে ধরা হয়েছে শহরের তরুণীদেরকে। এরপর রাতের পর রাত পর্ণ ফিল্মে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পেশায় এক মডেল এক যুবতী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। তিনি বয়ানে বলেন যে, এক ব্যক্তির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছে তাঁর। যুবতীকে টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। এরপরেই একদিন তাঁকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক পান করিয়ে জোর করিয়ে পর্ণগ্রাফি করায় বলে অভিযোগ। বিষয়টি ফাঁস করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবং এরপর বারবার নগ্ন ফটোশুটে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মডেল তরুণীর মাধ্যেমেই প্রকাশ্যে আসে ভয়াবহ এই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই এরপরে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরাও।