কেতুগ্রামের সরকারি চাকরি পাওয়া বধূর ডান হাতের কবজি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার রেণুর স্বামী। ঘটনার ৩ দিন পর মূল অভিযুক্ত শেখ মহম্মদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্যানেলে নাম এলেও হাত কেটে যাওয়ায় রেণু আর পাবেন কি সরকারি চাকরি, প্রশ্ন উঠেছে।
কেতুগ্রামের সরকারি চাকরি পাওয়া বধূর ডান হাতের কবজি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার রেণুর স্বামী। ঘটনার ৩ দিন পর মূল অভিযুক্ত শেখ মহম্মদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসডিপিও কাটোয়া কৌশিক বসাক জানিয়েছেন, স্ত্রীর কবজি কেটে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই রেণুর শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
প্যানেলে নাম এলেও রেণু আর পাবেন কি সরকারি চাকরি ?
স্ত্রী নার্সের চাকরি পেয়েছিল। সরকারি চাকরি।আর এখানেই নিরাপত্তাতাহীনতায় ভুগছিল স্বামী শেখ মহম্মদ। নার্সের চাকরি পাওয়ার পর যদিও তাঁকে ছেড়ে চলে যান এই আশঙ্কায় শেখ মহম্মদ, বউয়ের কবজি থেকে হাত কেটে নেন স্বামী। তারপর সেই কবিজি কেটে নিয়ে ব্যাগে ভরে চম্পট দেন শেখ মহম্মদ। আর তীব্র যন্ত্রনা তো ছিলই, তারই সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে হাত কেটে যাওয়া কেতু গ্রামের রেণু খাতুন আর চাকরি পাবেন কিনা, এনিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কিন্তু রেণুকে অভয়বানী দিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্ুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়।
কেতুগ্রামের এই ঘটনাকে অসুস্থ মানুসিকতা হিসেবেই ব্যাখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন
কেতুগ্রামের এই ঘটনাকে অসুস্থ মানুসিকতা হিসেবেই ব্যাখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি এবং মহিলা কমিশনের কিছু সদস্য রেণুর সঙ্গে দেখা করেছেন। আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, রাজ্যে যে হারে ধর্ষণ, খুন-সহ নানা বিধ অপরাধ বেড়েই চলেছে, তাতে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বাড়ি থেকে না বেরিয়েই যে ঘরের শত্র্ু বিভীষণের সম্মুখীন হতে হবে বাংলার এই মেধাবী মহিলাকে, তা বোধয় কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেনি।
আরও পড়ুন, বিকৃত গান-কবিতা আসলে তাঁর গবেষণার বিষয়, গ্রেফতার দিল্লির প্রাক্তন আইটি কর্মী রোদ্দুর রায়
গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন রেণু, আর তখনই মুখে বালি চাপা দিয়ে ডান হাত কবজি থেকে কেটে ফেলে হয়
জানা গিয়েছে, রেণু ছোট বেলা থেকেই মেধামী ছাত্রী ছিল।তার স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। সম্প্রতি তিনি নার্সের চাকরিও পান। অভিযোগ শেখ মহম্মদের কয়েকজন বন্ধু তাঁকে বোঝায়, চাকরি পেলে রেণুর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হতে পারে। অভিযোগ এরপরেই বন্ধুদের সঙ্গে মহম্মদ পরিকল্পনা করেন রেণুর হাত কেটে নেওয়ার। তাহলে আরও রেণু কাজ করতে পারবে না, চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না, এমনই নৃশংস অপরাধের ছক কষে শেখ মহম্মদ। এই পরেই আসে সেই অভিশপ্ত সময়।শনিবার রাতে তখন গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন রেণু। আর তখনই মুখে বালি চাপা দিয়ে ডান হাত কবজি থেকে কেটে ফেলে হয়। এরপর রেণুকে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেসময় মহম্মদ শেখ , রেণু ডান হাতের কাটা অংশটি লুকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। এরপর রেণুকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। যদিও মনের জোর ভাঙতে নারাজ অদম্য সাহসী রেণু খাতুন।
আরও পড়ুন, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মোট ৯ ধারায় মামলা দায়ের, হিংসামূলক উসকানি -সহ আরও কী বিষয়ে অভিযোগ