মাছের ভেড়িতে লুকিয়েও পার পাওয়া গেল না, রিজেন্ট পার্ক গুলিকাণ্ডে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত

প্রতিবেশির স্ত্রীকে রং মাখানোই কাল হয় দিলীপের। দোলের দিন দুপুরে রিজেন্ট পার্কে গুলিকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজিত মালিককে  গ্রেফতার করলো পুলিশ।  

Web Desk - ANB | Published : Mar 19, 2022 2:23 PM IST / Updated: Mar 19 2022, 07:54 PM IST

দোলের দিন দুপুরে রিজেন্ট পার্কে  গুলিকাণ্ডের (Regents Park shootout  Case) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজিত মালিককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার শতল কলসা থেকে গ্রেফতার করলো পুলিশ (Police)। ঘটনার পর থেকে ফলতার শতল কলসার শ্বেতকাল্লা এলাকায় একটি মাছের ভেড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলো সুজিত। 

মাছের ভেড়িতে আত্মগোপন করে সুজিত

জানা গিয়েছে, পৈলানের একটি মাছের আড়তে কাজ করতো সুজিত মল্লিক। দোলের দিন গুলিকান্ডের পর থেকে পলাতক ছিলো সে। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে ফলতার শ্বেতকাল্লাতে আড়তের মালিকের একটি মাছের ভেড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে সুজিত। এরপরেই শনিবার কলকাতা পুলিশের একটি টিম ও ফলতা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শ্বেতকাল্লা এলাকা থেকে সুজিত মল্লিককে গ্রেফতার করে। ঘটনায় সুজিত মল্লিক গ্রেফতার ও আটক ৩। যাদের মধ্যে ১ জন বাগানবাড়ি ও ভেড়ির কেয়ারটেকার ও ২ জন কর্মচারী রয়েছে। 

রং খেলার পাশাপাশি চলছিল দেদার মদ্য়পান, প্রতিবেশি সুজিতের স্ত্রীকে রং মাখান দিলীপ

আরও পড়ুন, 'আয়কর বিভাগ ও ইডি-র ভয়', শুভেন্দুর হুমকিতে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানীর নিরাপত্তা বাড়ালো রাজ্য

বেশ কয়েকবছর আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় আসেন বছর পঁয়তাল্লিশের দিলীপ চৌহান। নতুন পল্লির অটো স্ট্য়ান্ড থেকে কিছুটা দূরে এক আত্মীয় বাড়ি থাকতেন তিনি। বাদাম বিক্রির টাকা পাঠাতেন বাড়িতে। অভিযুক্ত সুজিত মল্লিকও পেশায় বাদাম বিক্রেতা। সে পাশেই একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকত। শুক্রবার সকাল থেকেই দোলের উৎসবে মেতে উঠেছিল পাড়াটি। রং খেলার পাশাপাশি চলছিল দেদার মদ্য়পান। এরপরেই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা পুলিশে খবর দেন। দিলীপ প্রতিবেশি সুজিতের স্ত্রীকে রং মাখান। প্রথমে ওই গৃহবধূ আপত্তি জানিয়েছিলেন। যদিও দোলের দিন বলে কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু স্বামী সুজিতের বিষয়টি একেবারেই পদন্ত হয়নি। তার দুই প্রতিবেশির মধ্যে গোলমাল বাধে। বচসা-ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে তখনকার মতো বিষয়টি মিটেও যায়।

প্রতিবেশির মধ্যে শুরু হয় বচসা, গুলি চালান অভিযুক্ত

কিন্তু দুপুরে ফের শুরু হয় মদ্যপান। আর তখনই গৃহবধূকে রং লাগানোর প্রসঙ্গ। ফের দুই প্রতিবেশির মধ্যে শুরু হয় বচসা। এরপরেই অভিযুক্ত বলতে শুরু করে তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে। বাড়াবাড়ি করলে গুলি চালিয়ে খুন করে দেবে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দেন দিলীপ। পাল্টা বলেন ক্ষমতা থাকলে তা করে দেখাক। এরপরেই ঘটনার মোড় ঘোরে। ঘরে ভিতর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসেন অভিযুক্ত। দিলীপ বাধা দিতে গেলেও তলপেটে ততক্ষণে তাক করা বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যায়। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন দিলীপ। গুলির শব্ধ পেয়ে সকলেই বেরিয়ে আসেন বাইরে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

Share this article
click me!