নিখোঁজ নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার মালদহের গ্রামের পুকুরে। কী কারণে ওই নাবালিকাকে এইভাবে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে গাজোল থানার পুলিশ।
নিখোঁজ নাবালিকার মৃতদেহ (Missing Minor Girl's Deadbody ) উদ্ধার মালদহের গ্রামের পুকুরে (Malda )। জানা গিয়েছে ওই নাবালিকার বয়েস ১৭ বছর। নতুন বছরে এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোকস্তব্ধ মালদহ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজলের হাতিমারি এলাকায়। কী কারণে ওই নাবালিকাকে এইভাবে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে গাজোল থানার পুলিশ (Police)।
গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় যশোদা মন্ডল। জানা গিয়েছে ওই নাবালিকার বয়েস ১৭ বছর। যশোদা নামের বছর ১৭ -র ওই নাবালিকা গাজলের হাতিবাড়ি হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে উদ্ধার হয় সাইকেল এবং জুতো। এরপর খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান খুন করে ওই নাবালিকাকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ। কী কারণে ওই নাবালিকাকে এইভাবে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে, কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে, তা জানতে ইতিমধ্য়েই ঘটনাটি পুরো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মালদহ তথা সারা বাংলাতেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘরে বাইরে মহিলাদের পা রাখলে এভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মালদহবাসী।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ নাগাতও একটি ভয়াবহ খুনের ঘটনা ঘটে মালদহে। মালদহের কালিয়াচকে গয়েশ বাড়ি এলাকায় বছর ৩০-র আহাদ আলি নামে এক ব্যাক্তির ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে এক আমবাগোনের মধ্যে তাঁর দেহ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর মেলে মাদকের আসরে গোলমালের জেরেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। আহাদ আলির ক্ষতবিক্ষত দেহের পাশ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটও উদ্ধার করে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মালদহ হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উল্লেখ্য, একুশ সাল থেকে বাইশে পা দিতে না দিতে অপরাধের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে মালদহ জেলায়। কখন মাদকপাচারকারী পুলিশের জালে ধরা পড়ছে। কখনও বা নৃশংস খুনের ঘটনা উঠে আসছে। কী করে এই একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটছে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে, তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা প্রশাসনও।