Fire Crackers Ban-বাজি বাজেয়াপ্ত অভিযান জেলায় জেলায়, বাঁকুড়ায় একদিনে গ্রেফতার ১৮

Published : Nov 01, 2021, 09:33 AM IST
Fire Crackers Ban-বাজি বাজেয়াপ্ত অভিযান জেলায় জেলায়, বাঁকুড়ায় একদিনে গ্রেফতার ১৮

সংক্ষিপ্ত

রবিবার বাঁকুড়াতেও চলে বাজির বিরুদ্ধে অভিযান। একদিনে সেখানে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার বাজি। 

কালীপুজোয় (Kali Puja) সব ধরনের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শুধু কালীপুজোই নয়, ছটপুজো (Chhath Puja), জগদ্বাত্রী পুজো, বড়দিন (Christmas) ও নববর্ষেও (New Year) বাজি পোড়ানো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, এই উৎসবে কোনও বাজি ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালার (wax or oil based diyas) মাধ্যমেই উৎসব পালন করতে হবে।

হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর থেকে বিভিন্ন জেলা (Districts) জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান(Police raids)। রবিবার বাঁকুড়াতেও (Bankura) চলে বাজির বিরুদ্ধে অভিযান(forfeit of Firecrackers)। একদিনে সেখানে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার বাজি। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে পুলিশের অভিযান। জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা এলাকায় বাজি বিক্রির ডেরায় হানা দিয়ে গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন  ধরনের বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি ও মজুতের দায়ে জেলায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কখনো ক্রেতা সেজে আবার কখনো বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে জেলার বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়ে পুলিশ এগুলি উদ্ধার করেছে বলেই জানিয়েছে জেলা পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে বাজি উদ্ধারে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সকাল বিকেল রাতে জেলার বিভিন্ন বাজার এলাকায় বাজি উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে পুলিশের। 

হাইকোর্টে বাজি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। পরিবেশ কর্মী রোশনী আলি এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, করোনা পরিস্থিতি এখনও বেশ ভয়াবহ। এই অবস্থায় গত বছরের মতো এবছরও বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করুক হাইকোর্ট।

যদিও পরিবেশবান্ধব বাজি প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, পরিবেশবান্ধব বাজির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কিন্তু সেগুলো কীভাবে পরীক্ষা করা হবে? সাধারণ বাজিকে যে পরিবেশ বান্ধব বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স বলে বিক্রি করা হবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়। কে পরীক্ষা করবেন সেই বাজি তার কোনও উত্তর পর্ষদের কাছে নেই। উৎসবের মরশুমে কে পরীক্ষা করবেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশবান্ধব বাজি (ECO friendly Crackers) পোড়ানোর উপরে ছাড় দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WB Pollution Control board)। জানানো হয়েছিল, কালীপুজোর দিন রাত ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। তবে শুধু কালীপুজোই নয়, ছটপুজো এবং বর্ষণবরণেও একইভাবে শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ