মালদহে প্রেমিকের থেকে নিজের মোবাইল আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়েই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির তরুণী। হায়দরাবাদ কাণ্ডের পর মালদহতে উদ্ধার হওয়া অগ্নিদগ্ধ দেহ যে আসলে মালদহের ওই তরুণীরই, তা কল্পনাও করতে পারেননি মৃতার আত্মীয়রা। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই তরুণীর সেই প্রেমিকেরও।
এক সপ্তাহ আগে মালদহের একটি আমবাগানের মধ্যে থেকে ওই তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। যে ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়তে থাকে। সংসদেও বিষয়টি তোলেন বিজেপি সাংসদরা।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির বাসিন্দা ওই তরুণী বিবাহবিচ্ছিন্না ছিলেন। মালদহের বাসিন্দা ছোটন ঘোষ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। এই ছোটনের কাছ থেকেই নিজের মোবাইল নিতে তিনি মালদহে এসেছিলেন বলে এক বান্ধবীকে জানিয়েছিলেন ওই তরুণী।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে শিলিগুড়ির এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। কয়েক বছর বাদেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এক সন্তানকে নিয়ে শিলিগুড়িতেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই যুবতী। সে সময় মালদহের বাসিন্দা ছোটন ঘোষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহের ওই যুবক অম্বিকানগরের একটি পপকর্ন ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। যদিও মাস কয়েক বাদেই ছোটন মালদহে ফিরে যায়৷ তার পরেও অবশ্য দু' জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
মৃতার এক বান্ধবী জানিয়েছেন, মালদহে পৌঁছে গত ২ ডিসেম্বর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু এর পর থেকে আর যোগাযোগ ছিল না। ওই তরুণী যেখানে ভাড়া থাকতেন, তার কাছেই ছিল তাঁর বাপের বাড়ি। মেয়ে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরাই তাঁর নামে এনজেপি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর এ দিন দেহ উদ্ধার হয়। তরণীর দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে তা দেখে সনাক্ত করার মতো উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত মৃতার শরীরে থাকা বালা ও আংটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় পুলিশ। আর তা দেখেই মৃতাকে সনাক্ত করেন তাঁর আত্মীয়রা।