জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও কিরীটেশ্বরীতে জমে উঠেছে পৌষ মেলা। সকল রকমের সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মহাসমারোহে দেবীর ইতিহাসিক ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ নবগ্রামের কিরীটেশ্বরীতে শীতের মরশুমে জমে উঠেছে পৌষ মেলা।
জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও কিরীটেশ্বরীতে জমে উঠেছে পৌষ মেলা (Kiriteshwari Poush Mela 2021)। সকল রকমের সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মহাসমারোহে দেবীর ইতিহাসিক ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ নবগ্রামের কিরীটেশ্বরীতে শীতের মরশুমে জমে উঠেছে পৌষ মেলা। মেলার প্রথম দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি কলকাতা থেকেও ভক্তরা কিরীটেশ্বরী মন্দিরে আসেন। মাস্ক পরে দূরত্ববিধি মেনে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভক্তরা মায়ের উদ্দেশে অঞ্জলি ও পুজো দেন। এবার (Covid Situation) আবহেও মেলায় ভক্তরা আসায় খুশির হাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা, মেলা কমিটি থেকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
জেলার পাশাপাশি পড়শী জেলা বীরভূম ,নদিয়া, বর্ধমান ,থেকেও ব্যবসায়ীরা আসছেন। মেলার মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। সকালের দিকে মেলায় ভিড় কম থাকলেও বেলা বাড়তেই লোকের সমাগম হয়। আগামী শনিবার থেকে মেলা আরও জমে উঠবে বলে আশা করছেন মেলা কমিটি থেকে ব্যবসায়ীরা।সতীপীঠ কিরীটেশ্বরী মন্দিরের সামনের মাঠে শতাব্দীপ্রাচীন এই গ্রামীণ মেলা বসে। পৌষ মাসজুড়ে চলবে। প্রতিদিন গ্রামের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা মেলায় ভিড় জমান। তবে মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার মন্দিরে পুজো ও অঞ্জলি দেওয়ার জন্য প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুজো ও অঞ্জলি দেন তাঁরা। কিন্তু এবার করোনা আবহে শতাব্দীপ্রাচীন এই মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। সংশয়ের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা, মেলা কমিটি থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষ। অবশেষে মেলা কমিটির সঙ্গে আলোচনায় শর্তসাপেক্ষে স্থানীয় প্রশাসন অনুমতি দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ব্যবসায়ীরা দোকান সাজিয়েছেন। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা আসছেন। ফলে ইতিমধ্যেই তেলেভাজা, মিষ্টি, খেলনা, সাংসারিক জিনিসপত্রের দোকানের পাশাপাশি ছোটদের মনোরঞ্জনের নাগরদোলা, চরকিতে ভরে উঠেছে মেলার মাঠ।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ ঘোষ বলেন, করোনার কারণে এবার মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অবশেষে মেলা শুরু হওয়ায় ভালো লাগছে। কলকাতার দমদম থেকে পুজো দিতে এসেছিলেন সুজাতা ঘোষ। তিনি বলেন, প্রতি বছর নিয়ম করে পৌষমেলায় এসে মাকে পুজো দিয়ে যাই। করোনার জন্য এবার আসা হবে না ভেবে মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মন্দিরের পুরোহিতকে ফোন করে মেলা বসছে জানার পরেই মনটা ভালো হয়ে যায়"। এদিকে মেলা কমিটির সভাপতি অনুপ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মেলা বসেছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম দোকান বসেছে। করোনার জন্য অনেক দোকান আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে"। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, মেলা শুরু হতে বহু ভক্তরা এখানে আসছেন আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও অনেকেই এখানে আসবেন বাইরে থেকে।