সীমান্তবর্তী জেলায় এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যথেষ্টই। এই আতঙ্ককে হাতিয়ার করেই বাজিমাত করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। আসরে নেমেছে টিম পিকে। নদিয়ায় পুরভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: উর্দি পরেই কৃষিমন্ত্রীকে প্রণাম, বিতর্কে রামপুরহাট থানার পুলিশ অফিসার
নদিয়ায় পুরসভা ৯টি, আর নোটিফায়েড এরিয়া বা প্রস্তাবিত পুরএলাকা ২টি। মেয়াদ শেষ হয়নি, হওয়ায় কুপার্স ক্যাম্প বাদে ভোট হওয়ার কথা সবকটিতেই। বস্তুত, কৃষ্ণনগর ও চাকদহে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বছর দেড়েক আগে। প্রশাসক বসানো হয়েছে দুটি পুরসভাতেই। বাকি আটটা পুরসভায় মেয়াদও শেষ হওয়ার মুখে। ভোট হবে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপ পুরসভায়। রানাঘাট মহকুমায় যে পুরসভাগুলিতে ভোট হবে, সেগুলি হল কল্যাণী, গয়েশপুর, চাকদহ ও হরিণঘাটা। উল্লেখ্য, নদিয়ার একমাত্র তাহেরপুর পুরসভাটি এখন বামফ্রন্টের দখলে।
এদিকে আবার এ বছর কৃষ্ণনগর পুরসভার আসন সংখ্যা বেড়েছে। আগেরবার যখন ভোট হয়েছিল, তখন এই পুরসভায় আসন সংখ্যা ছিল ২৪টি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৫। জানা গিয়েছে, ভোটের আগে নদিয়ায় রীতিমতো এলাকা ধরে ধরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে শুরু করেছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিমের সদস্যরা। পাল্টা মেরুকরণের তাস খেলার চেষ্টা করছে গেরুয়াশিবিরও। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর আসনে জিতলেও, রানাঘাটে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। তাদের কাছ থেকে আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে করিমপুর আসনে জয় বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে রাজ্যের শাসকদলকে।