প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার দেখা যায় বাঁকুড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, প্রশাসক মন্ডলীর প্রাক্তন সদস্য দিলীপ আগরওয়ালের মতোই তৃণমূলের টিকিট পাননি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তী। তাঁর জায়গায় তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন কাকলী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (list of candidates of TMC) প্রকাশিত হতেই ক্ষোভের সুর (Protests) চড়তে শুরু করল দলের অন্দরে। আজ প্রার্থী তালিকা (list of candidates) প্রকাশের পর বাঁকুড়ার (Bankura) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে সাথে নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। পরোক্ষে দল ছাড়ারও হুমকি দেয় বিক্ষোভকারীরা। আবেগে কেঁদে ভাসান বিদায়ী কাউন্সিলার নিজেও।
শুক্রবার বিকেলে সারা রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলির পাশাপাশি বাঁকুড়া পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার দেখা যায় বাঁকুড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, প্রশাসক মন্ডলীর প্রাক্তন সদস্য দিলীপ আগরওয়ালের মতোই তৃণমূলের টিকিট পাননি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তী। তাঁর জায়গায় তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন কাকলী দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষয়টি জানাজানি হতেই রবীন্দ্র সরনী এলাকায় থাকা বিদায়ী কাউন্সিলারের অফিসের সামনে অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে সাথে নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। দলের প্রতি নিজের ক্ষোভের কথা জানাতে গিয়ে এদিন আবেগে কেঁদে ভাসালেন বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তী। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ এদিন পরোক্ষে দল ছাড়ার হুমকিও দেয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি দলের জেলা নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এবারের পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় একাধিক নতুন মুখ। তালিকায় নেই একজনও বিধায়ক। উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার নির্বাচন। আর এবার একাঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমকে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-School Reopen: অবশেষে বাজল স্কুলের ঘণ্টা, করোনা ভয়কে সঙ্গে নিয়েই ক্লাসে পড়ুয়ারা
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন দলীয় নেতা-নেত্রীদের সতর্ক করে বলেন, সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। ক্লাসে একজনই প্রথম হয়, সবাই হয় না। তবে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তাঁর কথায়, যারা টিকিট পাননি, তাঁদের মন তো খারাপ হবেই। তবে এমন কিছু যেনও না করা হয় যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়। কোনও প্ররোচনায় কেউ যেনও পা না দেয় বলে সতর্ক করেন তিনি।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, কয়েকটি আসন বাদ দিয়ে ১০৮ টি পুরসভার সবকটি আসনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল। প্রায় তিনহাজার প্রার্থীর নাম বাছাই করা হয়েছে। সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নের্তৃত্ব খতিয়ে দেখেই এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।