২০২০ সালে এই পুরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভোট হয়নি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় এবং তার পরপরও ভোট করা যায়নি এই পুরসভাগুলিতে। মূলত প্রশাসক বসিয়ে পুরসভাগুলোর কাজকর্ম দেখভাল করা হচ্ছিল।
পূর্ব বর্ধমানের ৬ পুরসভায় ভোটগ্রহণ। এই পুরসভাগুলি হল মেমারি পুরসভা, কাটোয়া পুরসভা, দাঁনহাটা পুরসভা, বর্ধমান পুরসভা, গুসকরা পুরসভা এবং কালনা পুরসভা। ২০১৫ সালে এই পুরসভাগুলোতে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে এই পুরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভোট হয়নি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় এবং তার পরপরও ভোট করা যায়নি এই পুরসভাগুলিতে। মূলত প্রশাসক বসিয়ে পুরসভাগুলোর কাজকর্ম দেখভাল করা হচ্ছিল। সকাল ১০টা থেকে এই পুরসভাগুলিতে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এই পুর এলাকাগুলিতে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় উত্তেজনার পারদ কমাতে সমানে পুলিশি টহলদারি চলছে।
বর্ধমান পুরসভার ভোট ২০২২ লাইভ (Burdwan Municipal Election 2022)
কালনা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকারের বোর্ড লাগানো ছিল, সকাল ১১.৪২
কালনা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কালনা কলেজের ভেতরে বুথে দুয়ারে সরকারের বোর্ড লাগানো ছিল। সেই বোর্ড নিজের হাতে খুলে ফেললেন সিপিআইএম প্রার্থী নিরব খাঁ।
মেশিন খারাপ বর্ধমান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩২ নম্বর বুথে,
ভোট শুরু হতেই মেশিন খারাপ বর্ধমান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাই স্কুল ১৩২ নম্বর বুথে। সমস্যা তৈরি হয় ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে।
কালনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুভদেব হাজরাকে মারধর,
ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে কালনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ঝামেলা। বিজেপি প্রার্থী সুভদেব হাজরাকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগ তুলছেন খোদ বিজেপি প্রার্থী।
গুসকরার ৬ ও ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের বুথে ব্যাপক অশান্তি
গুসকরা শান্তিপুর গোকুল সুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ ও ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের বুথে ব্যাপক অশান্তি। পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।
ভোট লুটের অভিযোগ
কালনা শহরের ভোট লুটের অভিযোগ। প্রতিবাদে কালনা শহরের সিপিআই এম প্রাথীর মৃত্যুর প্রতিবাদে কালনা নিফুজী মোড়ে অবরোধ করে।
ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনা
কালনার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিষমর্দিনী গার্লস স্কুলে বাইক বাহিনীর হঠাৎই ঢুকে ইভিএম ভাংচুর অসহায় বোধ করছি জানালেন প্রিজাইডিং অফিসার. ব্যাপক উত্তেজনা কালনার যুগিপাড়া এলাকার মহিষমর্দিনী গার্লস স্কুলে. ঘটনায় জখম সিপিএম প্রার্থী সহ সিপিএম কর্মীরাও. ভোট বন্ধ করে দেওয়া হল ওই বুথে। আপাতত বন্ধ ভোট। ঘটনাস্থলে কালনা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩২ নম্বর বুথে নির্বাচনী এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ
বর্ধমান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩২ নম্বর বুথে মিউনিসিপাল গার্লস হাই স্কুলে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। নির্বাচনী এজেন্টকে বুথের ভিতরেই মারতে মারতে বাইরে নিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। অভিযোগ বিজেপির।
মেমারি পুরসভার পুরভোট ২০২২
এই পুরসভার অধীনে ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে শহরাঞ্চল এবং কিছুটা গ্রামীণ অঞ্চল রয়েছে। মেমারি পুরসভার মোট আয়তন ১৪.৬৮ স্কোয়ার কিলোমিটার। ২০০১ সালের জনগণণার রিপোর্ট অনুযায়ী এখানে প্রতি স্কোয়ার কিলোমিটারে ২৪৬৬ জন করে বাস করে। এই অঞ্চলে হিন্দু থেকে শুরু করে বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন এবং আরও বেশকিছু অন্য ধর্মালম্বী মানুষের বাস রয়েছে। কোভিড ১৯ অতিমারির জেরে এবং পুরবোর্ড না থাকায় সাধারণ মানুষকে বেশকিছু সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছিল।
কাটোয়া পুরসভার পুরভোট ২০২২
পশ্চিমবঙ্গের পুরনো পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম কাটোয়া পুরসভা। এর ইতিহাস যথেষ্টই ঐতিহ্যমণ্ডিত। এখানে সবমিলিয়ে ২০ ওয়ার্ড রয়েছে। কাটোয়া পুরসভার পুরপরিষেবা নিয়ে সেভাবে কেউ বিতর্ক খাড়া করেনি। রাজ্যের অত্যাধুনিক পুরসভার মধ্যেও বেশ চমক রেখেছে কাটোয়া। এখানে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইনে সমস্ত রকম নাগরিক পরিষেবার খোঁজ নেওয়া থেকে শুরু করে অনলাইনে কর প্রদান- সবই হচ্ছে। কাটোয়া একটি প্রাচীন শহর এবং হুগলি ও অজয় নদের মিলনস্থলে অবস্থিত। এমনকী একটা সময় কাটোয়াকে গেট ওয়ে অব মুর্শিদাবাদ বলেও চিহ্নিত করা হত।
দাঁইহাটা পুরসভার পুরভোট ২০২২
এই পুরসভার মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৪টি। ২০১৫ সালে দাঁইহাটা পুরসভার ১৪টি আসনের মধ্যে ৯টি সিপিএম, চারটি তৃণমূল এবং ১টি বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে চার জন কাউন্সিলার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলে পুরবোর্ড দখল নিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
Meta Description-
মেমারি পুরসভা, কাটোয়া পুরসভা, দাঁনহাটা পুরসভা, বর্ধমান পুরসভা, গুসকরা পুরসভা এবং কালনা পুরসভা-য় ২০১৫ সালে এই পুরসভাগুলোতে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে এই পুরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভোট হয়নি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় এবং তার পরপরও ভোট করা যায়নি এই পুরসভাগুলিতে। মূলত প্রশাসক বসিয়ে পুরসভাগুলোর কাজকর্ম দেখভাল করা হচ্ছিল।