পেট্রোল, ডিজেল ও জ্বালানি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হল কংগ্রেস। সাইকেলে চালিয়ে ও গরুর গাড়িতে চেপে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাগমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাত।
প্রতি দু-একদিন অন্তরই বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। রাজ্যে পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে খাদ্য সামগ্রীর উপর। ফলে খাদ্য সামগ্রীর দামও বেড়ে চলেছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আর এবার পেট্রোল, ডিজেল ও জ্বালানি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হল কংগ্রেস। সাইকেলে চালিয়ে ও গরুর গাড়িতে চেপে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাগমুন্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাত।
আরও পড়ুন- 'পাবজি'-র বলি স্কুল পড়ুয়া, ভারতের নিষিদ্ধ গেম ছাত্রের হাতে এল কী করে
আজ সকালে পুরুলিয়া শহরে এই সাইকেল মিছিল শুরু হয়। শহরের সাহেববাঁধ মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত হন নেতাকর্মী থেকে সমর্থকরা। এরপর সেখান থেকেই মিছিল শুরু হয়। শহরের একাংশ পরিক্রমা করে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। তিনদিন ধরে জেলা জুড়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে নেপাল মাহাত বলেন, "যত নেতা কর্মী রয়েছেন তাঁদের সবাইকে সাইকেলে চেপে পেট্রোল পাম্পগুলিতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে। গরুর গাড়িও সঙ্গে থাকছে। এই প্রতীকী প্রতিবাদ আমরা আজ থেকে শুরু করলাম। আমি নিজেও সাইকেল চালিয়ে প্রতিবাদ করছি। আগামীকাল কোটশিলায় থাকব। আর পরশু ঝালদাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে সেখানেও থাকব।"
আরও পড়ুন- 'ভুল বুঝে' দলবদল করেছিলেন, ফের তৃণমূলে পুরুলিয়ার একাধিক বিজেপি নেতা
রাজ্যের করোনার সংক্রমণ এখন অনেকটাই কম রয়েছে। রাজ্য জুড়ে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। ৩০ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাস, অটো, টোটো ও ট্যাক্সিকে আগেই ছাড় দিয়েছিলেন তিনি। আর গতকাল মেট্রো চলাচলের উপর ছাড় ঘোষণা করেছেন। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সপ্তাহে ৫ দিন মেট্রো চলাচলে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের মতে লোকাল ট্রেন চালু হলে রাজ্যবাসীর উপর বোঝা কিছুটা কমবে। যদিও তা নিয়ে একমত নয় কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে নেপাল মাহাত বলেন, "রাজ্য সরকার ট্রেন চলাচলের বিষয়ে করোনাকে সামনে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকেই আমাদের মানতে হবে। এখন জোর করে ট্রেন চালু করে দিলাম সংক্রমণ আবার বেড়ে গেল এটা একেবারেই ঠিক নয়। সরকার নিশ্চয়ই কোনও পর্যবেক্ষণ করেছে সেই মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কারণ করোনার প্রোটেকশনটা সবার থেকে আগে।"