চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, শিশুদের জন্য PICU তৈরি হচ্ছে রায়গঞ্জ মেডিকেলে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। আর তাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সে কারণে আগেভাগেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজও। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 24, 2021 7:40 AM IST / Updated: Aug 24 2021, 01:21 PM IST

চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ওই সময় শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি রয়েছে। আর সেই কারণেই আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল। শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কায় পেডিয়াট্রিক ইন্সেনটিভ কেয়ার ইউনিট (PICU) তৈরির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৪৫ বেডের পিকু তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে থাকছে উন্নতমানের যন্ত্রাংশ। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। আর তাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সে কারণে আগেভাগেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজও। তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত কোনও শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ভেন্টিলেশন সহ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে পিকু। আর এবার সেই পিকু তৈরির কাজেই বিশেষ জোর দিল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

ইতিমধ্যেই মেডিকেলের পুরোনো ভবনে শিশু বিভাগের পাশেই তৈরি হচ্ছে এই পেডিয়াট্রিক ইন্সেনটিভ কেয়ার ইউনিট। যেখানে প্রায় ৪৫ টি বেড থাকছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। বেড বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ। অক্সিজেনের পাইপ লাইনের কাজ থেকে শুরু করে ভেন্টিলেটর স্থাপনের কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। 

উল্লেখ্য, অক্টোবরেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। ওই ঢেউ বাংলাতেও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আগেই সাবধানতা অবলম্বনের নিদান দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও সে কারণে বিশেষত শিশুদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিতে পিকু তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল। আর এবার সে পথেই হেঁটে প্রায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে রায়গঞ্জ মেডিকেলে। 

মেডিকেলের প্রিন্সিপাল কৌশিক সমাজদার বলেন, "তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত। আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পিকু তৈরিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে হাতের কাছে রায়গঞ্জ মেডিকেলেই আগামীতে এই পিকুর পরিষেবা মিলবে একথা জানতে পেরে খুশি অভিভাবকরা। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ যেহেতু কম তাই অনেকেই এখন আর মাস্ক পরছেন না। এটা একেবারেই ঠিক নয়। শিশুদের কথা মাথায় রেখে মাস্ক পর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"

Share this article
click me!