মমতার 'চপ শিল্প' এবার গবেষণার টেবিলে, তাক লাগালেন কনা সরকার


চপ শিল্প এবার উঠে এল গবেষণাপত্রের। শুনতে কিছুটা আজব লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে কিছুটা বিতর্ক। কারণ গবেষণাপত্রে নাকি নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যাইহোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপকে একটি শিল্প বলায় এই রাজ্যে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি ।

Web Desk - ANB | Published : Jul 19, 2022 4:49 PM IST / Updated: Jul 19 2022, 11:26 PM IST

চপ শিল্প এবার উঠে এল গবেষণাপত্রের। শুনতে কিছুটা আজব লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে কিছুটা বিতর্ক। কারণ গবেষণাপত্রে নাকি নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যাইহোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপকে একটি শিল্প বলায় এই রাজ্যে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। কিন্তু তারপরেও এমন একটা বিষয়ে গবেষণা করে সম্পর্ণ অন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের ছাত্রী কনা সরকার। আদতে তিনি মালদহের গাজলের বাসিন্দা। 

 রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তাপস পালের অধীনে স্নতোকোত্তর স্তরের চতুর্থ সেমিষ্টারের গবেষণা পত্রে দেখা গেল চপ শিল্প সংক্রান্ত বিষয়। যার  শিরোনামটিও বেশ চমকপ্রদ। শিরোনামে লেখা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের চপ শিল্প ধারনায় অনুপ্রানিত হয়ে গবেষনায় চপ শিল্প। অনেকেই এর তাৎপর্য খুঁজছেন। এরই মধ্যে গবেষণার এই বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। শুরু হয়েছে আলোচনা- সমালোচনা, চুলচেরা বিশ্লষণ। 

কনা সরকার গবেষণা করলেও তাঁর বিষয়বস্তু বেছে দিয়েছিলেন অধ্যাপক তাপস পাল।   তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো অনেকটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বেড়ে গিয়েছে দারিদ্রতা। এই পরিস্থিতিতে অসংগঠিত ক্ষুদ্র বানিজ্যগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। তাপস বাবু বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চপ শিল্পের কথা বলেছিলেন। এই ক্ষুদ্র খাদ্যশিল্প মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হলেও এর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নেই। তাই এই বিষয়টিতে ফোকাস করে রাজ্য তথা জেলার মানচিত্রে চপ শিল্পের পরিসর নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে এই গবেষণায়। তিনি আরও জানিয়েছেন গবেষণার সুপারভাইরাজ তিনি। তাঁর ছাত্রছাত্রীরাই মাঠে নেমে এই গবেষণা করেছেন। 

যদিও গবেষণা পত্রে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম তুলে ধরায় কিছুটা হলেও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই এর অন্দরে শ্লেষাত্মক বিষয় খোঁজারও চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, বাণিজ্য ও আইন বিভাগের ডিন দীপক কুমার রায় বলেন বিষয়টি বিষদে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন। তবে শিরোনামে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করলেই বাঞ্ছনীয় হত বলে মত দীপক বাবুর। 

তবে বিতর্ক-গুঞ্জন-সমালোচনাই হোক কিংবা গবেষণার মুখ্য বিষয়বস্তুই হোক, এতে আদোতে চপ শিল্পের ভাগ্য বদলাবে কি না তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে যথেষ্ট। ছাঁকা তেলে ভাজা চপ, তা সে আলুরই হোক বা মাংসের সন্ধ্যেবেলা নামটি শুনলেই জিভে জল আসে আমজনতার। আর একটু মুড়ি সহযোগে তা সামনে ষোলোকলা পূর্ণ। আজ রাস্তার মোড়ের সেই চপ সেন্টারের চপ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। কখনও জীবন জীবিকার মূলে কখনও আবার ভিভিআইপিদের শ্লেষবাক্যে চপের ছড়াছড়ি। 

Share this article
click me!