একজন আগাম জামিন পেলেন। অন্যজনের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। একই দিনে কলকাতা হাইকোর্টে দু'টি ভিন্ন মামলায় স্বস্তি পেলেন মুকুল রায় এবং রাজীব কুমার।
এ দিন আসানসোলে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার পেটানোর মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিচারপতি সইদুল্লা মুনসি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। তবে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুকুলকে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে বলা হয়েছে নিম্ন আদালত থেকে।
গত বছর নভেম্বরে আসানসোলের কোকওভেন থানা এলাকায় বিজেপি একটি সভা করে। সেই সভার অনুমতি বিজেপির কাছে ছিল না বলে পুলিশের অভিযোগ। সভায় মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষ বক্তৃতা দেন। তাঁদের বক্তৃতার পর জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। কোকওভেন থানার তিন জন পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার জনগণকে শান্ত করতে গেলে উল্টে তাঁদের হাতেই মার খায় বলেও অভিযোগ। মুকুল এবং দিলীপের বিরুদ্ধে পুলিশ কোকওভেন থানায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করে।
গত সপ্তাহে মুকুল রায় আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সইদুল্লা মুনসির ডিভিশন বেঞ্চে মুকুলের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানোর জন্যই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। পুলিশের গায়ে 'হাত' ওঠার সঙ্গে মুকুলের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু সরকারি আইনজীবী ) শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপি নেতার বক্তৃতার জন্যই উপস্থিত জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
অন্য দিকে সারদা কাণ্ড সিবিআই জেরা নিয়ে রাজীব কুমারের দায়ের করা মামলার শুনানি আগামী ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত পিছলো। সিবিআই কৌঁসুলি ওয়াই জেড দস্তুর আজ কলকাতা হাইকোর্টে অনুপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি মধুমতী মিত্র তাই এদিন রাজীবের মামলাটি মুলতুবি করে দেন। তবে সিআইডির এডিজি রাজীব কুমারকে আরও কিছুটা স্বস্তি দিয়ে আদালত একইসঙ্গে নির্দেশ দেয়, আগামী ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত রাজীবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।