বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। অবরোধ তোলার পর এলাকায় রুটমার্চ করছে পুলিশ।
ধর্ষণের পর অভিযোগ দায়ের হলেও উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। আর তাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক কোতয়ালি থানায় (Kotwali police station) নিউ কদমতলায়। এমনকী এদিন শুরু হয়ে যায় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধও। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগে পরিচারিকার কাজ সেরে ফিরছিলেন এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। অভিযোগ, তখন তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এলাকার কিছু যুবক (Rape in Coochbehar)। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় নির্যাতিতার ছেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এখনও এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। আসল ঘটনার পর একসপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছিল জনরোষ। অবশেষে সোমবার প্রতিবাদে সোমবার কোচবিহার–মাথাভাঙা রাজ্য সড়ক অবরোধ (State highway blockade) করেন স্থানীয়রা। তার জেরে রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
এদিকে অবরোধের খবর পেয়েই প্রতিবাদীদের তুলতে আসে পুলিশ। ডি.এস.পি হেড কোয়াটার এবং কোতোয়ালি থানার আইসির তৎপরতায় তাদের বিশাল পুলিশবাহিনী উদ্যোগী হন এই অবরোধ তুলতে। আর তাতেই আরও অবনতি হয় গোটা পরিস্থিতির। রাজ্য সড়কের উপরেই লেগে যায় পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগ অবরোধকারীরা তাদের উপর লাগাতার ইট ছুঁড়তে থাকেন। পরিস্থিতি পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাঠানো হয়। চলে লাঠিচার্জ। এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন অনেক বিক্ষোভকারীও। তবে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- কলকাতায় করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে জরুরি বৈঠকের ডাক পৌরসভার, তৈরি রূপরেখা
অন্যদিকে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। অবরোধ তোলার পর এলাকায় রুটমার্চ করছে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, লাঠিচার্জ বা কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগের কোনও অভিপ্রায় তাদের ছিল না। তারা প্রথমে বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এমনকী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করা হবে বলেও নাকি আশ্বাস দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও কেন এখনও অধারা অভিযুক্তরা? পাল্টা এই প্রশ্ন করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।