দেওয়ালে ঝুলছে স্যালাইনের বোতল। আর মাটিতে শুয়ে থাকা যুবকের হাতে লাগানো স্যালাইনের চ্যানেল। না এ ছবি কোন সরকারি হাসপাতাল অথবা নিদেন পক্ষে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্ররও নয়। ডাক্তারদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির মাঝে পড়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এভাবেই বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়ে অসুস্থদের চিকিৎসা চলল মুর্শিদাবাদের গ্রামে।
ঘটনাটি ঘটে নওদা থানার গঙ্গাধারী গ্রাম এলাকায়। জানা গিয়েছে, গ্রামের এক যুবকের বিয়ে ছিল বুধবার সেই উপলক্ষে পাড়া প্রতিবেশীদের পাত পেরে খাওয়ানোর ব্যাবস্থাও করা হয়। এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও আচমকা নিমন্ত্রণ খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে থেকেই এক এক করে নিমন্ত্রিতদের বমি, জ্বর, পেট ব্যাথা সহ পাতলা পায়খানার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কয়েকজনের অবস্থা বেশ গুরুতর হয়।
বৃহস্পতিবার সকালেই অসুস্থদের নওদা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রায় তিরিশ থেকে চল্লিশজন অসুস্থকে চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো সেখানে ছিল না। ফলে অসুস্থদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। কিন্তু চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে বহরমপুর মে়ডিক্যাল কলেজেও গত কয়েকদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। তাই বাধ্য হয়ে অসুস্থদের গ্রামেই ফিরিয়ে আনা হয়। কোয়াক ডাক্তার ডেকে শুরু হয় চিকিৎসা। গুরুতর অসুস্থদের দিতে হয় স্যালাইন।
ভোজ খেয়ে অসুস্থ আলম শেখ বলেন, 'হাসপাতালে ডাক্তার নেই। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। জানিনা আমাদের কপালে শেষ পর্যন্ত কী আছে! তাড়াতাড়ি সুস্থ যাতে হতে পারি, সেই চেষ্টাই করছি।'