মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরে কোথাও কোথাও জরুরি বিভাগ খুলেছে ঠিকই। কিন্তু চিকিৎসকদের অভাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতেই অচলাবস্থা অব্যাহত। ফলে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের চতুর্থ দিনেও রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রে জট কাটল না।
শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও নিজেদের সিদ্ধান্ত অনড় থাকেন মুখ্যমন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরে বৃহস্পতিবারই এসএসকেএমের জরুরি বিভাগ খুলেছিল। এ দিন সকালে এনআরএস হাসপাতালেও জরুরি বিভাগ খোলা হয়। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি জারি রাখায় কয়েকজন সিনিয়ক চিকিৎসকই জরুরি বিভাগে কাজ চালান। কিন্তু রোগীর সংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসকদের সংখ্যা অপ্রতুল ছিল। ফলে পরিষেবা একেবারেই স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে আউটডোরও ছিল বন্ধ। কলকাতার বাকি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতেও ছবিটা ছিল একই রকম।
জেলার হাসপাতালগুলিতেও জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে অধিকাংশ জায়গায় আউটডোর বিভাগ বন্ধ রয়েছে। বীরভূমের সিউরি সদর হাসপাতালের ৬৭জন চিকিৎসক স্বাস্থ্যভবনে তাঁদের পদত্যাগ পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এ কথা স্বীকার করেছেন। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত সেই ইস্তফা গৃহীত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এ দিন সকাল থেকে কালো ব্যাজ পরেই কাজে যোগ দেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। খোলা রয়েছে হাসপাতালের আউটডোরও।
তবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এ দিন সকালেও আউটডোর বিভাগ খোলেনি। ফলে দূর দূরান্ত থেকে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হন রোগীরা। জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও সেখানে চিকিৎসক সংখ্যা ছিল হাতেগোণা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও পরিস্থিতি অনেকটা একই রকম।