সোনার দোকানে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন দোকানের মালিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল হুগলির হরিপালে।
আরও পড়ুন: বসন্তের শুরুতেই খনি অঞ্চলে ডায়ারিয়ার প্রকোপে আতঙ্কিত স্থানীয়রা
ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে আটটা। হরিপালের হাটতলা বাজার এলাকায় একটি সোনার দোকানে হানা দেয় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। দু'জন সটান ঢুকে পড়ে দোকানের ভিতরে, আর বাকিরা দাঁড়িয়েছিল বাইরে। দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা গয়না লুঠ করে নেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার সময়ে দোকানে ছিলেন মালিকও। ডাকাতরা যখন গয়না নিয়ে দোকান থেকে বেরোচ্ছিল, তখন একজনকে পিছন থেকে জাপটে ধরেন তিনি। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দোকান মালিকের হাতে ভোজালি দিয়ে একে এক কোপ মারতে শুরু করে ডাকাতরা। কিন্তু তাঁকে বাগে আনা যায়নি। শেষপর্যন্ত আক্রান্তের পাঁজর লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: কামারহাটির প্রান্তিক নগরে বিধ্বংসী আগুন, ভস্মীভূত ১০টি বাড়ি
এদিকে গুলি শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন যখন ওই দোকানের সামনে জড়ো হন, তখন বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দোকান মালিককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।