'ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয়র যুদ্ধে মৃত্যু হবে, ওনারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন', বিস্ফোরক দিলীপ

' ওনারা ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয় যুদ্ধে মারা যাবে। রাস্তায় নামবেন। আন্দোলন করবেন। ', যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে মমতাকে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।  

Web Desk - ANB | Published : Mar 4, 2022 9:21 AM IST

'ওনার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে উনি যান', যুদ্ধ আবহে ইউক্রেন (Russia Ukraine War) থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে মমতাকে (CM Mamata Banerjee ) তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ( BJP leader Dilip Ghosh ) । এদিন সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ওনারা ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয় যুদ্ধে মারা যাবে। রাস্তায় নামবেন। আন্দোলন করবেন।' তবে শুধু ইউক্রেন ইস্যুই নয় উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক ইস্যুতে এদিন মমতাকে নিশানা করলেন তিনি।

' কাউকে বাঁচানোর প্রয়োজনে আমি যুদ্ধে যেতেও রাজি'-মমতা, 'ওনার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে উনি যান'-দিলীপ

প্রসঙ্গত, বুধবার উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচারের জন্য বারাণসীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।  বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সেদিন ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় ছাত্রদের আটকে থাকার ইস্যুতে মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির মন্ত্রীরা বড়বড় লেকচার ছাড়ছেন। কিন্তু দেশের প্রয়োজনে কাজের কাজ কিছু করছেন না।দেশের প্রয়োজনে , কাউকে বাঁচানোর প্রয়োজনে আমাকে যদি যুদ্ধে যেতে হয়, তাহলে আমি যুদ্ধে যেতেও রাজি। এরপরেই সোজা প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিনমাস আগে থেকে সব জানতেন। তাহলে কেন ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেননি প্রধানমন্ত্রী। তাহলে তাঁদের বাঙ্কারে থাকতে হতো না। খাবারের জন্য কাঁদতে হতো না। মৃত্যুও হতো না।'

আরও পড়ুন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ আরও ১ ভারতীয় ছাত্র, কিয়েভের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

'ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয়র যুদ্ধে মৃত্যু হবে, ওনারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন', -দিলীপ

 বরাবরের মতই এদিনও নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ওনার যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে উনি যান। সারা বিশ্বের মধ্যে মোদী একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি ভারতীয় ছাত্রদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। ওনারা ভেবেছিলেন কিছু ভারতীয় যুদ্ধে মারা যাবে। রাস্তায় নামবেন। আন্দোলন করবেন। মোদীজির নেতৃত্বে ২০ হাজার ভারতীয় সুরক্ষার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। আজ প্রায় ১৮-১৯ টি বিমান যাবে তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ছাত্রছাত্রীরা এবং তাঁদের অভিভাবকরা আশীর্বাদ করছেন।'

আরও পড়ুন, 'বিমানে মৃতদেহ আনতে জায়গা বেশি লাগে', ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রের মৃ্ত্যুতে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক

'উত্তরপ্রদেশের মানুষ ভালো ভাবে নেবেন না'

পাশাপাশি এদিন আরও একদিক ইস্যুতেও নিশানা করেন দিলীপ।উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী সফরে খেলা হবে প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি অখিলেশ যাদবের খেলাই শেষ করতে গেছেন। কালকে যেভাবে উনি মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ কিভাবে নেবেন যোগী ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সম্পর্কে যেভাষা ব্যবহার করেছেন আমার মনে হয় উত্তরপ্রদেশের মানুষ ভালো ভাবে নেবেন না।' এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। আদালতের নির্দেশ সিবিআই তদন্তের। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পশ্চিমবাংলার দুর্নীতি আর সিবিআই তদন্ত একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে এমন কোনো পরীক্ষা হয় না যেখানে গন্ডগল নেই দুর্নীতি নেই। আর নিয়োগও হয় না দুর্নীতি ছাড়া। পরীক্ষা হলে নিয়োগ হয় না। নিয়োগ হলে কেউ জানতে পারে না কার কোথায় নিয়োগ হলো। পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি পাওয়া যায়। আবার ফেল করলেও চাকরি পাওয়া যায়। এই সরকারে সামান্য যোগ্যতা টুকু স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া টুকু করতে পাচ্ছে না। লোকে কোর্টে যাচ্ছে সিবিআই তদন্ত করছে এটা দুর্ভাগ্যজনক।' এদিকে খড়গপুর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন, 'কিছু হয়েছে ওখানে পার্টি অফিসে মিটিং করা নিয়ে। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। পার্টির মধ্যেই মেটাব।'

আরও পড়ুন, খড়্গপুরে ভোটে জিততেই 'বিজেপি কর্মী দ্বারা' আক্রান্ত হিরণ , একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ

'উত্তরপ্রদেশেও বিক্ষোভ হওয়া উচিত, ত্রিপুরা ও গোয়াতেও হওয়া উচিত'

মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দিদিমণিকে কেন কালো পতাকা দেখানো হয়েছে তা নিয়ে বাংলায় মিছিল হবে। আমাদের কাছে খবর আছে উদ্দেশ্য প্ৰনদিতভাবে কালো পতাকা দেখানোর জন্য লোক ফিট করা হয়েছিল। বিজেপির কেউ ছিল না। অখিলেশ ভাই লোকজন ফিট করে রেখেছিলেন যেন খবরটা হয়। দিদির ছোট ছোট ভাইয়েরা যারা সিন্ডিকেট চালিয়ে খান, কাটমানি তুলে খান তাদেরকে আজ নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। দিদির প্রতি কতটা আনুগত্য রাস্তায় নামবে তারা। উনি যদি সর্বভারতীয় নেত্রী হন তাহলে শুধু বাংলাত নয়, উত্তরপ্রদেশেও বিক্ষোভ হওয়া উচিত, ত্রিপুরা ও গোয়াতেও হওয়া উচিত। তবে না বুঝব উনি ন্যাশনাল লিডার। ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর। আপনা ঘর পে কুত্তা ভি শের হোতা হ্যায়। বিক্ষোভ দেখানো কিছু লোকের পেশা হয়ে গেছে। এই করে খাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত বড় নেত্রী যদি সারা দেশে বিক্ষোভ হয় তাহলে আমরা ধরে নেবো উনি জাতীয় নেত্রী হয়েছেন।'

Read more Articles on
Share this article
click me!