জনরোষের মুখে শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার সকালে প্রচারে সিউড়ি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই শতাব্দী রায়কে ঘিরে ধরে এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষুব্ধ জনতা জানতে চান, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কি না। শতাব্দী রায় কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভোট চাইতে তাদের জুড়ে। কিন্তু ভোট পেরলেই ভ্যানিশ তাঁরা। পাঁচ বছরে একটি বারও তাঁদের পা পড়ে না নিজদের কেন্দ্রে। মুখ বুঝে বঞ্চনা সহ্য করেন এলাকার মানুষ। এবার তাঁরাই ফেরালেন প্রার্থীকে।
বীরভূম ভোট চাইতে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার সকালে প্রচারে সিউড়ি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই শতাব্দী রায়কে ঘিরে ধরে এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষুব্ধ জনতা জানতে চান, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি কিছু যানেন কি না। তার উত্তরে শতাব্দী জবাব দিতে তো পারলেনই না উপরন্তু তাঁর দলের কর্মীদের বললেন তাঁকে অন্য রাস্তা থেকে নিয়ে যেতে। এর পরেই এলাকাবাসীরা তাঁর পথ আটকে ধরেন ও তার সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন।
দীর্ঘ দিন ধরে জল কষ্টে ভুগছে সাধারণ মানুষ। গরমে প্রবল রূপ নেয় এই জলের সঙ্কট। পৌর প্রতিনিধিকে বার বার জানিয়েও লাভ হয় না।
অভিযোগ ভোটের আগে লোক দেখানোর জন্য ফেলা হয়েছে জলের পাইপ। ভোট চলে গেলেই গত বারের মতো উধাও হয়ে যাবে সেই পাইপও। মানুষের প্রশ্ন, এসব কি জানেন না ভোট প্রার্থী এই সাংসদ? শুধু নির্বাচনের আগেই ভোট চাইতে আসেন কোন মুখে?
প্রসঙ্গত বীরভূমে গেরুয়াবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে এ কথা তৃণমূল কর্মী থেকে হাই কম্যান্ড সকলে জানে। তারাপীঠে পুজো দিতে এসে শক্তি বুঝে নিয়েছেন অমিত শাহ। তেড়েফুঁড়ে উঠছে বিজেপি কর্মীরা। এই অবস্থায় জনসংযোগের ঘাটতি যে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অভিনেত্রী স্বভাবতই উত্তর দিতে পারেন নি কোনও প্রশ্নের। ভোটের মুখে এই জনরোষ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।